মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রানি মুখোপাধ্যায়। ছবি- সংগৃহীত
স্বামী এবং দুই সন্তানের সঙ্গে নরওয়েতে থাকেন দেবিকা চট্টোপাধ্যায়। আপাত ভাবে সুখী এই পরিবারের উপর এক দিন হঠাৎই ঘনিয়ে আসে আইনি জটিলতা। সন্তানের দেখাশোনায় গাফিলতির অভিযোগে নরওয়ে সরকার এক দিন হঠাৎ দেবিকার দুই সন্তানকে সরকারি হেফাজতে নিয়ে নেয়। সেখান থেকেই শুরু হয় এক বাঙালি মায়ের সন্তানদের ফিরে পাওয়ার যুদ্ধ।
অসীমা ছিব্বর পরিচালিত ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ তৈরি হয়েছে এক প্রবাসী বাঙালি পরিবারের কিছু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রানি মুখোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য। জানেন কার জীবনের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে?
ঠিক এক যুগ আগে সাগরিকা চট্টোপাধ্যায় এবং অনুরূপ ভট্টাচার্য নামে এক দম্পতির সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে ছবি। সন্তানকে ফিরে পেতে নরওয়ে সরকারের সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন সাগরিকা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি তাঁর সন্তানদের ঠিক মতো দেখাশোনা করতে পারছেন না। তাই শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেই দেশের সরকার সাগরিকার দুই সন্তানকে কোলছাড়া করে। ২০১১ সালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শুনে নড়ে বসেছিল ভারত সরকারও। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো লড়াই করে সন্তানদের অধিকার ফিরে পাওয়ার এই কাহিনি নজর কেড়েছিল অনেকের।
রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো লড়াই করে সন্তানদের অধিকার ফিরে পাওয়ার কাহিনি। ছবি- সংগৃহীত
এই ছবিতে রানির চরিত্রের নাম দেবিকা। প্রিয় শহর কলকাতা ছেড়ে, স্বামীর সঙ্গে নরওয়েতেই থাকেন দেবিকা। যে কোনও দেশে থাকতে গেলেই মেনে চলতে হয় সেখানকার সংবিধান, রীতিনীতি। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সেই দেশের নাগরিক এবং বিদেশ থেকে আগত বা প্রবাসীদের জন্য ভিন্ন নিয়ম থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই দুই দেশের সংস্কৃতি, রীতিনীতিতে পার্থক্য থাকবেই। তাদের কাছে যা পরিচ্ছন্নতার বিষয়, বাঙালিদের কাছে তা সংস্কার। হাত দিয়ে খাবার খাওয়ানো, রাতে সঙ্গে নিয়ে ঘুমোনো, কপালে কাজলের টিপ পরানোর মতো অভ্যাস নরওয়ে সরকারের কাছে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেই ‘অপরাধ’ যে ভিত্তিহীন, তা কী ভাবে প্রমাণ করেন সাগরিকা, তা-ই পর্দায় দেখাবেন দেবিকা অর্থাৎ, রানি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির ঝলক। ১৭ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।