হৃদ্রোগে মৃত্যু কিশোরের। ছবি: শাটারস্টক।
হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হল ১৪ বছর বয়সি স্কুলপড়ুয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে। মৃত ছাত্রের নাম যোগেশ সিংহ।
যোগেশ নবম শ্রেণির ছাত্র। শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষকের কোলের উপর হঠাৎই লুটিয়ে পড়ে সে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে সঙ্গে সঙ্গে যোগেশকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর তাঁকে এসএমএস হাসপাতালে পাঠানো হলেও শেষরক্ষা হল না। চিকিৎসকদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণেই মৃত্যু হয়েছে যোগেশের।
মৃত্যুর দিন সকালে যোগেশের দাদা তাকে স্কুলে ছেড়ে দিয়ে যায়। যোগেশের শিক্ষক বলেন, ‘‘ক্লাসে ঢোকার আগের মুহূর্তেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয় যোগেশ। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকেরা সব রকম চেষ্টা করলেও বাঁচানো গেল না যোগেশকে।’’
সপ্তাহখানেক আগেই দিল্লি মেট্রোতেই বছর পঁচিশের এক যুবকের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়। ওই যুবক ডাক্তারি পড়ুয়া। ময়ঙ্ক গর্গ নামে ওই যুবক বল্লভগড় থেকে মেট্রোতে ওঠেন। জওয়হরলাল নেহরু মেট্রো স্টেশনের কাছে তাঁর হার্ট হ্যাটাক হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে এ রকম হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে।
হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কখনও জিম করতে গিয়ে, কখনও নাচতে গিয়ে, কখনও আবার কথা বলতে বলতেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মাঝবয়সিদের পাশাপাশি অল্প বয়সিদেরও রেহাই দিচ্ছে না এই রোগ।