পণ হিসাবে এক টাকা আর নারকেল নিয়েই বিয়ে করলেন বর। ছবি: শাটারস্টক।
পণপ্রথা আটকানোর জন্য ভারতের ফৌজদারি আইন জোরদার করা হয়েছে। ১৯৬১ সালে পণপ্রথা রদ আইন, ১৯৮৩ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ৪৯৮-এ এবং ১৯৮৬ সালে ৩০৪-বি ধারার অন্তর্ভুক্তি পণের জন্য নির্যাতন, এবং নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর ঘটনাকে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। কিন্তু, গ্রাম হোক বা শহর— এখনও কান পাতলেই শোনা যায়, পণের জন্য মেয়েদের জীবন ছারখার হয়ে যাওয়ার খবর। সংবাদমাধ্যমের পাতায় প্রায়শই ঠাঁই পায় পণের জন্য নানা নৃশংসতার খবর। তবে সম্প্রতি পণ না নেওয়ার একটি খবর উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। রাজস্থানের জয় নারায়ণ জাখর কিন্তু বিয়েতে পণ নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না একেবারেই। বিয়েতে তিনি কোনও যৌতুক নেননি। বরং তাঁর স্ত্রীর কাছে তিনি এক অবাক করা আর্জি রেখেছিলেন। বিয়ের পর স্ত্রীর রোজগারের সমস্তটাই জয় তাঁর স্ত্রীর বাবা-মাকে দিয়ে দেওয়ার আর্জি করেন।
জয় পেশায় একজন জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার। জয়ের স্ত্রী অনিতা সদ্য স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশুনা শেষ করেছেন। জয় বলেন, ‘‘অনিতার বাবা-মা ওকে পড়াশোনা করিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করিয়েছেন। পড়াশোনাই এখনকার দিনে সবচেয়ে বড় সম্পত্তি। আমার ঠাকুরদা ও বাবা কখনওই পণ নেওয়া সমর্থণ করেননি। আমিও সেই পথেই চলেছি। বিয়ের নিয়ম অনুযায়ী এক টাকা আর একটি নারকেল নিয়েই বিয়ে সেরেছি আমি।’’
অনিতা এখন সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করছেন। জয় ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা অনিতাকে ইতিমধ্যেই আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি চাকরি পাওয়ার পর তাঁর সমস্ত মাইনেটাই তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে পারেন। অনিতা বলেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই জয় ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা পণ ছাড়া বিয়ের আয়োজন করতে বলেছিলেন। আমাদের বাড়ি থেকেও সেই ভাবেই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।’’