এক ধাক্কায় নিজের এতটা ওজন কমিয়ে ফেললেন তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত
রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস্’-এর দৌলতে ইতিমধ্যেই গোটা দেশ চিনে ফেলেছে তাঁকে। তিনি একাধারে অভিনেত্রী, মডেল এবং গায়িকা। বিগ বস্ চলাকালীন অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে কলহে জড়িয়ে পড়া হোক কিংবা সিদ্ধার্থ শুক্লর সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন— গত দু’বছর ধরে চর্চার শিরোনামে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি অর্পিতা খানের ইদের অনুষ্ঠানে সলমানের বক্ষলগ্না হয়ে তাঁকে নিয়ে চর্চা আরও একটু উস্কে দিয়েছেন। তিনি পঞ্জাবের ‘ক্যাটরিনা কইফ’ শেহনাজ গিল। ২০২১ সাল, সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শেহনাজ। বেশ অনেক দিন পর্যন্ত তিনি ক্যামেরার সামনে আসেননি। ব্যক্তিগত শোক যাপন করছিলেন নিভৃতে।
তবে শোক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন তিনি। ওজন কমিয়েছেন। ৬ মাসে প্রায় ১২ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন শেহনাজ। খাদ্যরসিক শেহনাজ কী ভাবে এক ধাক্কায় নিজের এতটা ওজন কমিয়ে ফেললেন তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে। কী ভাবে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে নিজেকে মেদহীন, ঝরঝরে করে তুললেন শেহনাজ, তা জানতে প্রবল উৎসাহী দর্শকেরা।
ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় শরীরচর্চার প্রতি বাড়তি জোর দেননি তিনি। ছবি: সংগৃহীত
কোন পথে ওজন কমালেন শেহনাজ গিল?
ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় শরীরচর্চার প্রতি বাড়তি জোর দেননি তিনি। বরং খাদ্যাভ্যাসে এনেছিলেন বদল। শেহনাজ মনে করেন, ওজন কমাতে খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ আনাটা সবচেয়ে জরুরি। কী খাচ্ছেন এবং কতটুকু খাচ্ছেন— সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি খেতে ভালবাসেন। কিন্তু এই কয়েক মাসে নিজের পছন্দের খাবার থেকে দূরে থেকেছেন। ইচ্ছে করলেও দাঁতে কাটেননি কিচ্ছুটি। ঘি, চকোলেট, আইসক্রিমের মতো কোনও খাবার ছুঁয়েও দেখেননি। বাড়ির তৈরি ভাত, ডাল, রুটি, সব্জিতেই বেশি ভরসা রেখেছিলেন তিনি।
শেহনাজ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রোগা হতে প্রচুর পরিমাণে জলও খেতেন তিনি। শুধু শরীর নয়, ত্বকের যত্ন নিতেও অত্যন্ত উপকারী জল। ওজন কমানোর বাহ্যিক প্রচেষ্টা তো ছিলই। সেই সঙ্গে ভিতর থেকেও একটা জেদ কাজ করেছিল। সেই জেদই তাঁকে ৬৭ কেজি থেকে ৫৫ কেজিতে আসতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন শেহনাজ।