আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে এসে তেমনই কিছু সমস্যার কথা সরাসরি শুনলেন এবং সমাধান দিলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
‘লোকে কী বলবে’-এর প্রতিটি পর্বে ইতিমধ্যেই অনেকে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। নিচ্ছেনও। এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে জীবনের এবং সমাজের এমন কিছু দিক উঠে এসেছে যেগুলি নিয়ে কথা বলা কঠিন। সেই সমস্ত ছুতমার্গ, সামাজিক চাপ যেখানে অনেক লজ্জা, ভয় জুড়ে আছে সেই সব বিষয় নিয়েই ‘লোকে কী বলবে’-এর প্রতিটি পর্বে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রতিটি পর্বের আগে এমন অনেক প্রশ্ন এসেছে যার সঙ্গে শুধু সামাজিক সঙ্কট জুড়ে নেই, আরও অনেক ধরনের বিপন্নতাও থেকে যাচ্ছে। আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে এসে তেমনই কিছু সমস্যার কথা সরাসরি শুনলেন এবং সমাধান দিলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেবশ্রী মিত্র লিখেছেন, ‘‘আমি খুবই ইন্ট্রোভার্ট। নিজের অসুবিধার কথা সে ভাবে কাউকে জানাতেও পারি না। সরাসরি কাউকে ‘না’ বলতে পারি না। পারিবারিক পরিসরে এই কারণে মাঝেমাঝেই খুব বিপদের মধ্যে পড়ে যাই। কী ভাবে এই সমস্যা থেকে বেরোব বুঝতে পারছি না।’’
‘না’ বলতে না পারা অনেকের কাছেই খুব সঙ্কটের হয়ে দাঁড়ায়। কেউ অন্তর্মুখী কিংবা বহির্মুখী কি না, তার উপর সব সময় ‘না’ বলতে পারাটা নির্ভর করে না। সক্রিয় সামাজিকতায় বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ‘না’ বলতে পারেন না, এমন উদাহরণ খুঁজলে পাওয়া যাবে। এই সমস্যা থেকে বেরোনোর রাস্তা দেখালেন মনোবিদ অনুত্তমা। মনোবিদের কথায়, ‘‘আসলে আমরা চাই যে, সকলে আমাকে নিয়ে খুশি হোক। এমন হতে পারে পারিবারিক পরিসরে যখন কাউকে না বলতে হচ্ছে, আমার মধ্যে একটা সংশয় কাজ করছে যে, কাউকে দুঃখ দিয়ে ফেলবো না তো। কিন্তু পাশাপাশি এটাও ভেবে দেখা জরুরি যে একসঙ্গে সকলকে খুশি করা সম্ভবও নয়। সেক্ষেত্রে নিজের মনের কথা শোনাটাই শ্রেয়। অন্যকে কষ্ট দেওয়া অভিপ্রেত, না কি সত্যি বলাটা অভিপ্রেত— কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকেই এক বার ঘুরিয়ে প্রশ্ন করে দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে কী ভাবে না বলছি, সেটাও কিন্তু জরুরি। কিন্তু আপনার না বলার কারণে যদি সম্পর্কে ফাটল ধরে, পারিবারিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়, তা হলে সেই সম্পর্কের গভীরতা নিয়েও এক বার একটু ভেবে দেখা জরুরি।’’