‘লোকে কী বলবে! সঙ্গে অনুত্তমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ‘এইচআইভি পজিটিভ’-এর দ্বিতীয় পর্বে উঠে এল আরও অনেক না বলা কথা। ছবি সৌজন্যঃ সনৎ সিংহ।
এডস নিয়ে সচেতনতা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে। পাশাপাশি ঘাটতিও রয়ে গিয়েছে অনেকটা। কেউ এডস আক্রান্ত হয়েছেন শুনলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা তো দূর, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসতেও চান না অনেকে। বৈষম্যের বেড়াজাল পেরিয়ে আসা এখনও সম্ভব হয়নি অনেকে ক্ষেত্রেই। এডস নিয়ে ছুঁতমার্গ এখনও বর্তমান। এডস থাকলে এখনও সমাজ ভাল চোখে দেখে না। এডস নিয়ে সমাজে জীবনধারণ করাটা সত্যি কতটা কঠিন? কতটা লড়াই করলে তবে সমাজে ঠিক করে মেলামেশা করা যায়? এই সব প্রশ্নের জবাব নিয়েই সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউবে আলোচনায় বসলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘লোকে কী বলবে! সঙ্গে অনুত্তমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ‘এইচআইভি পজিটিভ’-এর দ্বিতীয় পর্বে উঠে এল আরও অনেক না বলা কথা। এর আগের পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও মনোবিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এইচআইভি পজিটিভ জয়দীপ জানা। এডসের ছুঁতমার্গ নিয়ে ছবিটা একেবারে বদলায়নি তা নয়। কিন্তু বদলেও কোথায় যেন থমকে আছে। এডস নিয়ে অনেকেরই ধারণাটা আসলে পরিষ্কার নয়। কী এই রোগ? কী ভাবে হয়? সেগুলি আগে জানা প্রয়োজন। তেমনই কিছু প্রাথমিক প্রশ্ন করেছেন এক জন। তিনি লিখেছেন, ‘‘এডস কী কী ভাবে হতে পারে? শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় কী কী খেয়াল রাখা উচিত? বিকল্প যৌনতা কি কোনও ভাবে কাজে আসতে পারে?’’
উত্তর দিলেন জয়দীপ। তিনি বললেন, ‘‘এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ছড়ানোর চারটি রাস্তা। ১) অসুরক্ষিত যৌন মিলন ২) অপরিশোধিত সিরি়ঞ্জের ব্যবহার ৩) অপরীক্ষিত রক্ত কারও শরীরে গেলে ৪) অন্তঃসত্ত্বা নারীর এইচআইভি থাকলে, পরবর্তীকালে শিশুরও এডসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাড়িতে কেউ যদি অন্তঃসত্ত্বা হন, প্রথমে তাঁর নাম সরকারি হাসপাতালে নথিভুক্ত করান। তা হলে গর্ভকালীন সময়ে যা যা পরীক্ষা হবে, তার আওতাভুক্ত হবে এইচআইভি পরীক্ষাও। যদি হবু মায়ের শরীরে এডস ধরা পড়ে তা হলে দেরি না করে দ্রু়ত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন প্রসব হাসপাতালেই হয়। তাতে বাচ্চার জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চাকে একটি ওষুধ দেওয়া হবে। এবং প্রথম ৪ মাস মাকে স্তন্যদুগ্ধ পান করানোর কথা বলা হয়।’’