খেয়াল রাখুন যেন পোশাক হয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই।
চল্লিশ পেরোলেই চালশে? মোটেও না। সাজে আর মন দেবেন না ভাবছেন? বরং উল্টোটাই করুন। আরও একটু বেশি মন দিন পোশাকে। কোন জিনস মানাবে, আর কী মানাবে না, তা নিয়ে চিন্তা করছেন?
বয়সের সঙ্গে বেশ বদলানো মন্দ নয়। তবে এখন ৪০ এমন কোনও বয়সও নয়। শুধু খেয়াল রাখুন যেন পোশাক হয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই। কারণ, জীবনের এই সময়ে অধিকাংশ আধুনিকাই সাজের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে পছন্দ করেন। সেই মতো এই ৩টি জিনিস সব সময়ে প্রস্তুত রাখুন নিজের ঘরে।
সাদা শার্ট
একটা লম্বা হাতার সাদা শার্ট অফিসের বৈঠক থেকে হাল্কা মেজাজের নৈশভোজ, সবেতে সঙ্গ দিতে পারে। বাকি সাজটা প্রয়োজন মতো বদলে ফেললেই হল। যেমন সাদা শার্টের সঙ্গে মানানসই একটি পেন্সিল স্কার্ট কিংবা কালো প্যান্টস্, ৪০ পরবর্তী সময়ে কাজের জায়গায় বাড়তে থাকা দায়িত্বের সঙ্গে এক্কেবারে তাল মিলিয়ে চলে। কোনও নৈশভোজের আমন্ত্রণে তার সঙ্গেই জড়িয়ে নিতে পারেন একটি হাল ফ্যাশনের শিফন শাড়ি। বন্ধুদের সঙ্গে দুপুরের পান-ভোজনে সেই জামাই পরা যায় একটি হাল্কা নীল জিনসের সঙ্গে। তার সঙ্গে মানিয়ে নানা রঙের পুঁতির একটি হার পরে নিলে তো আর কথাই নেই।
একরঙা শাড়ি
হ্যান্ডলুম সুতি কিংবা সিল্ক, শাড়িটা হোক একরঙা। চেকস্, স্ট্রাইপস্, ছাপা, সবই পরতে পারেন। তবে কয়েকটি একরঙা শাড়ি যে কোনও অনুষ্ঠানে মুশকিল আসান করে দেয়। কারণ, যে কোনও একরঙা শাড়ির সঙ্গে নিজের রুচি মতো গয়না মানিয়ে যায়। যে জায়গায় নিজেকে যেমন ভাবে প্রকাশ করতে চান, তেমনটাই দেখাবে। ইচ্ছেমতো ব্লাউজ বানানোরও সুবিধে থাকে এ ক্ষেত্রে। ফলে সহজ মনে হয় ৪০-এর ওপারের সাজ!
চামড়ার চটি
রকমারি জুতো-চটি কিনতেই পারেন। কিন্তু একটা কালো কিংবা বাদামি রঙের ভারী চামড়ার চটি বুঝিয়ে দেয় ব্যক্তিত্বের গুরুত্ব। ৪০ পরবর্তী বয়সে যে সব জায়গায় আমন্ত্রণ আসে, সেখানে ব্যক্তিত্বের ভার চোখে পড়লে মন্দ হয় না। চামড়ার জিনিস সেই ভারটা বজায় রাখতে সক্ষম। কোনও নতুন জায়গায় পা ফেলা মাত্র, তা নজর কাড়তে পারে চারপাশের মানুষজনের।
উপরের তালিকায় দেওয়া কোনও জিনিসই পাওয়া কঠিন নয়। নিজের ভরসার ব্র্যান্ডের শার্ট-জুতো কিনুন। শুধু কেনাকাটার সময়ে একটু যত্ন করলেই ৪০-এর ও প্রান্তের সাজ আলাদা ভাবে নজর কাড়বে সকলের!