প্রতীকী ছবি।
কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পরও থেকে যাচ্ছে শরীরিক সমস্যা। কারও ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ তো কারও ক্ষেত্রে তিন মাস পর্যন্ত ভোগাচ্ছে কোভিড পরবর্তি সমস্যা। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর দু’পা হাঁটলেও হাঁফিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় অক্সিজেনের দরকার পড়েছে অনেকেরই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোভিডের ফলে ক্ষতি হয়েছে ফুসফুসের। তাই কোভিড পরবর্তি শ্বাসকষ্ট বা দুর্বলতা কাটাতে ‘পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন’ পরামর্শ দিচ্ছেন ফুসফুসের চিকিৎসক রাজা ধর।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোভিডে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী বাড়ি ফেরার তিন সপ্তাহ পরেও কোনও না কোনও সমস্যায় ভুগছেন। তিন মাস পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রোগীর অসুস্থতা পিছু ছাড়ছে না বলে জানান ফুসফুসের চিকিৎসক অলোকগোপাল ঘোষাল। রাজা জানান, ‘‘কোভিড পরবর্তি ফুসফুসের সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়ার আগেই চিকিৎসা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার পালমোনারি রিহ্যাবিলেটেশন বা ফুসফুসের অতিরিক্ত যত্ন। শুধু ওষুধ নয়, ফুসফুসকে সুস্থ করতে জীবনযাত্রা বদলের সঙ্গে মানতে হবে কিছু নিয়ম।’’
কাদের প্রয়োজন এই পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন বা ফুসফুসের যত্ন? চিকিৎসকদের মতে, যাঁদের কোভিডের পরও শ্বাসকষ্ট, শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি রয়ে গিয়েছে তাঁদের প্রয়োজন এই পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশনের।
কী ভাবে নেবেন ফুসফুসের যত্ন
অলোকগোপাল ঘোষাল জানান, ‘‘৬ মিনিট জোরে হেঁটে ৩৫০ মিটারও না যেতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’’
চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেও শুরু করা যেতে পারে ফিজিওথেরাপি। হাত, পায়ের ব্যায়ামের পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত ব্যায়ামও জরুরী।
নজর দিতে হবে খাবারের দিকে। কমাতে হবে ধূমপান। শরীরের সঙ্গে নজর দিতে হবে মনেরও। ফুসফুসের অসুস্থতা বুঝে আট থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।