জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনীতির ধারেপাশে নেই। দলমত নির্বিশেষে ভাল এবং মন্দ নিয়ে সমালোচনা করেন। পাশাপাশি টালিগঞ্জ এটাও জানে, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্ক ভাল নয়। খবর, রাজনীতি থেকে শত হাত দূরে থাকা মানুষটিই নাকি খুব শিগগির পা রাখছেন এই দুনিয়ায়। তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি-র অঞ্জনা বসু!
জয়জিৎ কোন দলে যোগ দিচ্ছেন? তিনিও কি বাকি অভিনেতাদের মতো হঠাৎই রাজনীতিমনস্ক?
হেঁয়ালি সরিয়ে যাবতীয় রহস্য ফাঁস করেছেন অভিনেতা স্বয়ং। লকডাউন উঠতেই ছোট পর্দায় নতুন ধারাবাহিক, রিয়ালিটি শো-এর ঢল। খুব শিগগিরি আসছে সুরিন্দর ফিল্মসের নতুন প্রযোজনা ‘মন মানে না’। এই ধারাবাহিকেই এক পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে জয়জিৎ-কে। সঙ্গে থাকছেন ভরত কল-সহ আরও একাধিক নামী অভিনেতা। তবে নিজের চরিত্র সম্পর্কে বা গল্প নিয়ে এই মুহূর্তে আর মুখ খুলতে রাজি নন তিনি।
ধারাবাহিকের হাত ধরে তবে কি ছোট পর্দাতেও রাজনীতি আসছে? ‘‘একেবারেই না। বরং সমস্ত রটনা মিথ্যে করে অভিনয় দুনিয়া এখনও রাজনীতিবিমুখ,’’ দাবি জয়জিতের। উদাহরণ হিসেবে অভিনেতা জানিয়েছেন, সবাই জানেন অঞ্জনা বিজেপি-র ঘোষিত সদস্য। অনেক দিন পরে তিনি ছোট পর্দায় ফিরছেন এই ধারাবাহিকের হাত ধরে। ভরত কল শাসকদলের সমর্থক, কারওর অজানা নয়। সুরিন্দর ফিল্মসেও রয়েছে শাসকদলের ছায়া। আবার তিনি নিজে কোনও দলেরই সমর্থক নন। ‘‘তার পরেও এক ছাতার নীচে সবাই মিলেমিশে কাজ করছি,’’ বললেন অভিনেতা। তাঁর মতে, সবাই বলেন কোনও একটি দলের সমর্থক হলে নাকি অন্য দল কাজ করতে দেয় না। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জয়জিতের কথায়, ‘‘'মন মানে না’ তার জ্বলন্ত উদাহরণ।’’
খবর আরও আছে। টেলিপাড়া বলছে, ‘মন মানে না’ ছাড়াও প্রযোজনা সংস্থা বিভিন্ন চ্যানেলে একাধিক ধারাবাহিক আনতে চলেছে। যেমন, স্টার জলসায় আসছে ‘শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত মীরা’। সান বাংলায় গত দু’মাস ধরে সম্প্রচারিত হচ্ছে ‘মোম পালক’। তেমনই শ্যুট চলছে ‘বিক্রম বেতাল’-এর। শেষে বলা ধারাবাহিক দু’টিতেও অভিনয় করছেন জয়জিৎ। অভিনেতা জানিয়েছেন, “বাংলায় খুব শিগগিরিই ‘বিক্রম বেতাল’ আসছে। তারই একটি গল্পে রাজার চরিত্রে অভিনয় করলাম।” জয়জিৎ সেই ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন নেটমাধ্যমে। মাথায় পাগড়ি। কপালে টিপ। কোমরবন্ধ, গয়নায় সেজে ওঠা জয়জিতকে ভাল লেগেছে অনুরাগীদের।