আপাতত স্থগিত হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি পরিবর্তন।
রবিবার হোয়াটসঅ্যাপের নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ‘স্ট্যাটাস’ দিয়ে জানাল, আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করতে তারা দায়বদ্ধ। অনেক হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীই রবিবার সকালে নিজের হোয়াটসঅ্যাপে চোখ বুলিয়ে খানিক অবাক হয়ে যান। কারণ, ‘স্টেটাস’ দিয়েছে তাঁদের পরিচিত কোনও বন্ধু বা আত্মীয় নয়, খোদ হোয়াটসঅ্যাপ। এই স্টেটাসে ৪টি বক্তব্য রাখা হয়েছে তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে। বলা হয়েছে, ‘আমরা আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করতে দায়বদ্ধ’, ‘এন্ড-টু-এন্ড ইনক্রিপশন আছে বলে, হোয়াটসঅ্যাপ আপনার ব্যক্তিগত কথাবার্তা পড়তে বা শুনতে পায় না’, ‘হোয়াটসঅ্যাপ আপনার শেয়ার করা লোকেশন দেখতে পায় না’ এবং ‘হোয়াটসঅ্যাপ আপনার কনট্যাক্টস ফেসবুককে জানায় না’।
এরই মধ্যে সিদ্ধান্তে বদল আনল হোয়াটসঅ্যাপ। ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে যে পলিসি চালু করার কথা ছিল, তা মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পিছিয়ে দিল এই মেসেজিং অ্যাপ। তাদের পলিসি-গত পরিবর্তন নিয়ে বহু ধরনের ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে বলেও, দাবি করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে। বলা হয়েছে, তারা ব্যবহারকারীদের আরও স্বচ্ছ্ব ভাবে বিষয়টা বুঝিয়ে বলবে। তার জন্য যেমন এর আগে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সংস্থাটি, তেমনই রবিবার নিজেরাই স্টেটাস দিয়ে আরও একবার অভয় দিল ব্যবহারকারীদের।
জানুয়ারির গোড়ায় নীতিগত বদলের কথা তারা জানায়। একই সঙ্গে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে নতুন পলিসি মেনে চলবে হোয়াটসঅ্যাপ। যে সব ব্যবহারকারীরা এই নতুন পলিসির সঙ্গে একমত হবেন না, তাদের ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। সেই সিদ্ধান্ত থেকেই আপাতত পিছিয়ে এল তারা।
হোয়াটসঅ্যাপের সেই স্ট্যাটাস
ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পলিসির উপর স্থগিতাদেশ নিয়ে আসার আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিযোগী অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। তাই ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপটি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে বলেই মত অনেকের।
অনেকেই মনে করছেন, এখন নানা ভাবে মেসেজিং অ্যাপটি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও তাতে আগের জনপ্রিয়তার কতটা তারা ফিরে পাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জুড়ে প্রবল চাপ, নতুন আপডেট আপাতত স্থগিত রাখল হোয়াটসঅ্যাপ
আরও পড়ুন: আপনি কী কিনছেন অনলাইনে, অজান্তে সেই তথ্য চলে যায় হোয়াটসঅ্যাপে