প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ফাল্গুনী শাহ। ছবি- সংগৃহীত
গ্র্যামিজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার বাসিন্দা ফাল্গুনী শাহের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গান লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মিলেটের উপকারিতা এবং তার উৎপাদনের উপর জোর দিয়ে বানানো গানই প্রকাশ পাবে সেখানে। ২০২৩ সালটিও এই কারণেই বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেট্স’ হিসেবেও মনোনীত করা হয়েছে এই বছরটিকে। ২০২৩-এর বাজেটেও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও এই মিলেট উৎপাদনের প্রচার এবং প্রসারের লক্ষ্যে সরকারি নানা প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন। মিলেটকে ‘শ্রী অন্ন’ নামে উল্লেখ করেন তিনি।
মুম্বইতে জন্ম গায়িকা-গীতিকার ফাল্গুনী শাহের। সঙ্গীতমহলে ‘ফালু’ নামেই জনপ্রিয়। তিনি এবং তাঁর স্বামী গৌরব শাহ শুক্রবার ‘অ্যাবানডেন্স অফ মিলেট্স’ গানটি প্রকাশ করেন। পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ফালু বলেন, “প্রধনামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমার স্বামী গৌরব এই গানের কথা লিখেছেন। ইংরেজি এবং হিন্দি— এই দুই ভাষাতেই গানের কথা লেখা হয়েছে।” ২০২২ সালে ‘আ কালারফুল ওয়ার্ল্ড’এর জন্য গ্র্যামি পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ফালু। সেই পুরস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে যান ফালু। মিলেট নিয়ে গান লেখার কথা তখনই মাথায় আসে তাঁর।
মনে করা হয়, সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকে বাজরা বা মিলেটজাতীয় শস্যের ফলন চলে আসছে। বর্তমানে ১৩০টিরও বেশি দেশে চাষ করা হয় এই শস্য। এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই খাবারের উপর নির্ভরশীল। ফালু জানিয়েছেন, “এই গানের লক্ষ্যই হল বাজরাজাতীয় খাবারের প্রচার করা। কৃষকদের আরও বেশি করে উৎসাহ দেওয়া।”