Parenting Tips

ফোন ছাড়া শিশু কিছুতেই খেতে চায় না? খুদের আসক্তি কাটাবেন কী করে?

আপনার শিশুও কি মোবাইলের প্রতি আসক্ত? জেনে নিন কী ভাবে খুদেকে এই অভ্যাস থেকে বার করে আনবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:০১
Share:

শিশুর মোবাইল আসক্তি কাটাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।

কোভিডের পরবর্তী সময়ে শিশুদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। বাড়িতে থাকলেই কখনও পড়াশোনা করার জন্য কিংবা কখনও গেম খেলার জন্য কখনও আবার ইউটিউব দেখার জন্য তাঁরা ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকছে। বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলা কিংবা খেলার বদলে মোবাইলের স্ক্রিনেই তাদের নজর থাকছে সর্ব ক্ষণ। কর্মব্যস্ততার কারণে তাঁরা সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। ফলে শিশুরা মা-বাবার আদর-যত্ন থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত হন। আর সে জন্যই বাচ্চাদের অবসর সময় কাটানোর জন্য অভিভাবকরাই তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ফোন, ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ। এই অবস্থাতেই তারা মোবাইলের প্রতি এতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যে, তার কুপ্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর। অভিভাবকদের এমন সামান্য ভুল শিশুর জীবনে বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আপনার শিশুও কি মোবাইলের প্রতি আসক্ত? জেনে নিন কী ভাবে খুদেকে এই অভ্যাস থেকে বার করে আনবেন।

Advertisement

১) শিশুর স্মার্টফোনের আসক্তি কাটাতে হলে শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনাকে ওর জন্য সময় বার করে নিতে হবে। সন্তানের হাতে স্মার্ট ডিভাইস তুলে দিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে যাবেন না। ওর জন্য প্রতিদিন দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন। ওই সময়ে শিশুর মনের কথা শুনুন, শিশুর সঙ্গে খেলুন, ওর সঙ্গে গল্প করুন। প্রয়োজনে ওকে গল্প পড়েও শোনাতে পারেন। ওর মন অন্য দিকে ঘোরাতে আপনাকেই উদ্যোগী হয়ে উঠতে হবে। মাঝেমাঝে ওকে নিয়ে বেড়াতে যান, ওর সঙ্গে সময় কাটান। ওকে বই কিনে দিতে পারেন। বই পড়া শুরু করলে মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমবে।

২) আপনি যদি খুব বেশি মোবাইলেক প্রতি আসক্ত হন, আপনাকে সন্তানও আপনার দেখাদেখি সেটাই করবে। তাই আগে আপনার নিজের আসক্তি দূর করুন। শিশুর সামনে কাজের প্রয়োজন ছাড়া অযথা ফোন ব্যবহার করবেন না।

Advertisement

আপনার শিশুও কি মোবাইলের প্রতি আসক্ত? ছবি: সংগৃহীত।

৩) দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিশুকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দিন। শিশু স্মার্টফোনে কী দেখছে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। তাদের অবসর সময়টা অন্য কাজে ব্যবহার করুন। খেলাধুলো, নাচ, গান যে বিষয় শিশুর আগ্রহ আছে, সে সব বিষয়ে মন দিতে উৎসাহী করে তুলুন খুদেকে।

৪) শিশু যদি অনলাইনে ক্লাস করে, তা হলে ইন্টারনেটে আর কী করছে সে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

৫) প্রযুক্তির সুবিধা-অসুবিধা দু’টি দিকই সন্তানকে বোঝাতে। প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করুন সন্তানদের সঙ্গে। অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কী বিপদ হতে পারে, সে সব নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement