চ্যবনপ্রাশ খাওয়া কাদের জন্য ক্ষতিকর? ছবি: সংগৃহীত।
আবহাওয়া বদলাচ্ছে দ্রুত, ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে শীত। ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি, জ্বর জানান দিচ্ছে দুয়ারে শীত এসে পড়েছে। সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে শীতকালে বাঙালির ঘরে ঘরে মেলে চ্যবনপ্রাশের শিশি। আমলকি, লবঙ্গ, তুলসী, বাসক, পিপুল-সহ প্রায় ৫০ রকম ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক পথ্যের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয় এই চ্যবনপ্রাশ। মরসুম বদলের সময়ে শিশু বা বাড়ির বয়স্কদের সুস্থ রাখতে চ্যবনপ্রাশের জুড়ি মেলা ভার। কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেই নয়, ফুসফুস পরিষ্কার করতে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর করতে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে, যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও শরীরের দূষণ বার করে দিতেও চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতে পারে।
এই পথ্যের উল্লেখ রয়েছে প্রাচীন আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও। তবে এই পথ্য খাওয়ার সময়ে কিছু নিয়ম মানতে হয়, না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কখন খাবেন?
চ্যবনপ্রাশ স্বাস্থ্যকর হলেও বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্করা দিনে দু’বার ১ চামচ করে চ্যবনপ্রাশ খেতে পারেন। সকাল ও বিকেলের দিকে খেলে ভাল। শিশুদের জন্য দিনে আধ চামচ খেলেই যথেষ্ট। জল কিংবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া যেতে পারে। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দুধের সঙ্গে চ্যবনপ্রাশ মিশিয়ে না খাওয়াই ভাল।
চ্যবনপ্রাশ স্বাস্থ্যকর হলেও বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
চ্যবনপ্রাশে চিনি, গুড়, মধুর মতো উপাদান থাকে, তাই ডায়াবেটিকদের চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রক্তের শর্করার মাত্রা খুব বেশি হলে চ্যবনপ্রাশ না খাওয়াই ভাল।