কোন মূল্যবোধ দিয়ে সন্তানদের বড় করেছেন মুকেশ ঘরনী? ছবি: সংগৃহীত।
কোটি টাকার কাপ-বাটির সেটে চা পান করেন তিনি। যে ব্যগ ব্যবহার করেন, তাঁর দামও ২ কোটির উপর। তাঁর গলায় যে হার শোভা পায়, তা দিয়ে কয়েকটি জেট প্লেন কিনে ফেলা যায়।
বিশ্বের অন্যতম বড় ধনকুবের সংস্থার কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর পত্নী তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্রিকেট টিমের মালকিন। তিনি নীতা অম্বানী, যাঁর জীবনযাপনে এত বিলাসিতা, সন্তানপালনে তাঁর মনোভাব কিন্তু প্রশংসনীয়।
বিযের আগে নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষিকা ছিলেন নীতা। মুকেশ-ঘরনী হওয়ার পরে ঘরের সঙ্গে সামলেছেন বাইরেটাও। বড় করেছেন তিন সন্তান ঈশা, আকাশ ও অনন্তকে। সন্তানদের মধ্যে তাঁর মূল্যবোধকেই সঞ্চারিত করতে চেয়েছেন তিনি।
সন্তানদের বড় করতে কোন বিষয়ে জোর দিয়েছেন নীতা
‘কোয়ালিটি টাইম’
মুকেশ অম্বানী অত্যন্ত ব্যস্ত। তাই ঘরের দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি বাইরের জগতেরও অনেক দায়ভার সামলাছেন নীতা। তিনি নিজেও অনেক ব্যবসায়িক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। সেই ব্যস্ততার মধ্যে সন্তানদের সঙ্গে ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটানোয় জোর দিয়েছেন মুকেশ-ঘরনী। মাতৃত্বকে কখনও অবহেলা করেননি তিনি।
স্বাধীনতা
নীতা মনে করেন, সন্তানদের স্বাধীন ভাবে বেড়ে ওঠা দরকার। সন্তানদের নিজস্ব স্বপ্ন থাকবে। সেই স্বপ্নপূরণে অভিভাবক হিসাবে পাশে থাকাতে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
সময়ের গুরুত্ব
সময়ের কাজ সময়ে করার শিক্ষা তিনি ছোট থেকেই তিন সন্তানদের দিয়েছেন। ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া, পড়াশোনা, অবসর সমস্ত কিছুই সময় ধরে করার গুরুত্ব শিখিয়েছেন।
পাশে থাকায় বিশ্বাসী
সন্তানদের কোনও বিষয়ে কথা দেওয়ার বদলে তিনি মনে করেছেন প্রয়োজনে পাশে থাকাটা খুব জরুরি। সন্তানের যখন মাকে প্রয়োজন হবে, সে যেন চাইলেই পায়।
অর্থের মূল্য
ধনকুবের বাবার ছেলেমেয়েদেরও যথেচ্ছ অর্থ খরচ করতে দেননি তিনি। তাঁদের হাতখরচের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করেছেন। বোঝাতে চেয়েছেন, অর্থ কষ্ট করে উপার্জন করতে হয়, অর্থের মূল্য কতটা!
শিক্ষার গুরুত্ব
নীতা সব সময়ই শিক্ষার কদর করেছেন। তিনি ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ব্যপারে ছোট থেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। সামাজিক দায়িত্ববোধ, সম্পর্কের গুরুত্ব ঈশা, আকাশ, অনন্তকে শিখিয়েছেন তিনি।
নীতা সবসময়ই মনে করেছেন কঠিন পরিস্থিতি লড়াইয়ের জন্য ইতিবাচক মানসিকতার দরকার। এমনভাবে দুই ছেলে ও মেয়েকে বড় করতে চেয়েছন তিনি, যাতে কঠিন পরিস্থিতিও তারা সামাল দিতে পারে।