ঈশা ও আকাশের নামকরণের সঙ্গে জুড়ে সুন্দর গল্প। জানালেন মা নীতা অম্বানী। ছবি: সংগৃহীত।
জুলাই মাসে ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানীর বিয়ে। বিলাসবহুল ক্রুজে প্রাক্বি-বাহ অনুষ্ঠানের পর জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলের বিয়ে বলে কথা! এ নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেই জানা গেল অম্বানী পরিবারের যমজ সন্তান, অনন্তের দাদা ও দিদির নামকরণের নেপথ্য কাহিনি।
বেশ পুরনো একটি ‘ক্লিপ’-এ মুকেশ-পত্নী নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। তাঁদের যমজ ছেলে-মেয়ের নাম দিয়েছিলেন মুকেশ অম্বানী। নীতা সে সময়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। আমেরিকাতেই ঈশা ও আকাশের জন্ম হয়েছিল। সেই সময় বিমানে ছিলেন তাঁদের বাবা মুকেশ। মাঝ আকাশেই সুখবর আসে পাইলটের মাধ্যমে। তখনই মনে মনে ভেবে নিয়েছিলেন সন্তানদের নাম।
নীতা জানিয়েছেন, সন্তান যখন হয় তখন মুকেশ অম্বানী ও তাঁর শাশুড়ি সেখানে ছিলেন না। ভারতে ফিরছিলেন তাঁরা। দেশের মাটিতে পা রাখার পরেই মুকেশ সে দেশে ফেরার জরুরি তলব পান। তবে আমেরিকায় পৌঁছনোর আগেই ফুটফুটে দুই সন্তানের জন্ম হয়েছিল। বিমানেই সুখবর পেয়েছিলেন মুকেশ ও তাঁর মা কোকিলাবেন। পাইলট সেই খবর দিয়েছিলেন। গোটা বিমানেই তখন খুশির হাওয়া।
তার পর যখন নামকরণের পালা এল, তখন মুকেশ বললেন, মেয়ের নাম ভেবে ফেলেছেন। নাম রাখবেন ঈশা। কারণ, যে সময় মেয়ে হওয়ার খবর পেয়েছিলেন সেই সময় উড়ান যাচ্ছিল পর্বতের উপর দিয়ে। ঈশা নামের অর্থ পর্বতের দেবী। আর আকাশে ছিলেন বলেই ছেলের নাম রাখা হল আকাশ।
ছেলে মুকেশের জন্য স্ত্রী হিসাবে নীতাকে বেছে নিয়েছিলেন শ্বশুরমশাই ধীরুভাই অম্বনীও। সেই ঘটনাও কম চমকপ্রদ নয়। একটি অনুষ্ঠানে নীতার নাচ দেখে তাঁকে পছন্দ হয়েছিল শিল্পপতি ধীরুভাই অম্বানী ও তার স্ত্রী কোকিলাবেনের। প্রথম যখন ধীরুভাই অম্বানী সাধারণ ঘরের মেয়ে নীতাকে ফোন করেছিলেন তখন ‘ভুল নম্বর’ বলে কেটে দিয়েছিলেন নীতা। দ্বিতীয় বার যখন ফোন করেছিলেন তিনি, তখনও নীতা ভেবেছিলেন কেউ মজা করছে। বলেছিলেন, ‘আপনি যদি ধীরুভাই হন, আমি তাহলে এলিজাবেথ টেলর।’ পরে সেই নীতাই যোগ্য ঘরনি হয়েছেন মুকেশ অম্বনীর। অম্বানী পরিবারের বধূ হিসাবেও তাঁর যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।