প্রতীকী ছবি।
সন্তানকে পড়তে বসিয়ে ঘরের কাজ সারতে গেলেন, এসে দেখলেন পড়ার বই একই ভাবে খোলা। পাশে রাখা একটি খাতায় নিজের মনে আঁকিবুঁকি কাটছে শিশুটি। হাতে গুনে হয়তো ১০ মিনিট সে এক টানা পড়ে বা অন্য কোনও কাজ করে। বেশির ভাগ শিশুর ক্ষেত্রে এই অমনোযোগিতা খুবই স্বাভাবিক। সন্তান অমনোযোগী বলে তাকে প্রচুর বকাঝকা করবেন না। বরং সমস্যা কমানো যায় অন্য উপায়ে।
১) শিশুরা এমনিতে খেলতে ভালবাসে। তাই সন্তানের খেলার জিনিসই নিজের হাতিয়ার করতে পারেন। এমন কিছু খেলনা শিশুর জন্য কিনে আনুন, যা খেলতে বেশ ধৈর্য লাগে। নানা ধরনের পাজল খেলার প্রতি আকৃষ্ট করুন। এতে শিশুর মনোযোগ বাড়বে।
২) শিশু ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করে তো? কারণ ডায়েট ঠিক না থাকলেও মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে। পেট খালি থাকার কারণেই হয়তো তার কাজে মন বসছে না। শিশুর ডায়েটে রাখুন শাক-সব্জি, ফ্যাটযুক্ত মাছ ও নানা ধরনের ফল। এগুলি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে।
প্রতীকী ছবি।
৩) এক জন শিশুর সারা দিনে সমস্ত কাজের নির্দিষ্ট রুটিন থাকা দরকার। অনেক ক্ষেত্রেই খাওয়া, ঘুম, খেলা আর পড়ার সময় উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকেও মনোযোগের অভাব ঘটতে পারে।
৪) ঠিকমতো বিশ্রাম না পেলে কোনও কাজই করতে ইচ্ছা করে না। তাই কাজের ফাঁকে শিশুকে বিশ্রাম নিতে বলুন। বিশেষ করে রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমনোও অত্যন্ত জরুরি। ভাল ঘুম হলে পরদিন সকালে তার কাজের প্রতি উৎসাহ ও মনোযোগের ধরনটাই অন্য রকম হবে।
৫) অনেক শিশুই বই পড়তে ভালবাসে না। কিংবা পড়লেও সে ভাবে মন বসাতে পারে না। তাদের জন্য বাবা-মায়ের উচিত পড়াশোনার অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগ করা। অডিয়ো, ভিডিয়োর মাধ্যমে এখন অনেক জিনিস রপ্ত করা সম্ভব।