করিনা কপূর।
ত্বক ভাল রাখতে নিয়মিত তা পরিষ্কার করে টোনার লাগানো দরকার। আবার সপ্তাহে একদিন ঘরোয়া ফেসপ্যাকও লাগাতে হবে। কিন্তু এটাই কি ত্বকের যত্নের শেষ কথা? একেবারেই না। ত্বক ভাল রাখতে যেমন এগুলি দরকার, তেমনই প্রয়োজন পুষ্টি। তবে ত্বক সেই পুষ্টি পাবে কীভাবে? ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে। রোজ পাতে ভিটামিনযুক্ত খাবার রাখলে ত্বক তো উজ্জ্বল হবেই, সেই সঙ্গে বলিরেখা বা ত্বকের অন্যান্য কোনও সংক্রমণের সমস্যাও কমবে। ত্বক ভাল রাখতে রোজ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন ডি খাওয়া জরুরি।
ভিটামিন এ
জানেন কি সানস্ক্রিন ও অ্যান্টি-এজিং ক্রিমের অন্যতম উপাদান ভিটামিন এ? ভিটামিন এ ত্বক আর্দ্র রাখে, ত্বকের তারুণ্য ফিরিয়ে আনে। এ ছাড়া ব্রণর সমস্যা থেকেও ত্বককে বাঁচায়। প্রতিদিন পাতে রাখুন গাজর, কুমড়ো, বেল পেপার, কমলালেবু, পেঁপে, ব্রকোলি, পালং শাক। এছাড়া কড মাছের তেল ও ডিমেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে। প্রতিদিনের ডায়েটে একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ৭০০ মাইক্রোগ্রাম ও একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলার ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ রাখা উচিত।
ভিটামিন সি
ত্বক ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় ভিটামিন সি। ত্বকের যেকোনও দাগ বা ক্ষত সারাতে এর কোনও বিকল্প নেই। ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির ফলে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা থেকেও বাঁচাতে পারে এই ভিটামিন। এছাড়া ত্বক রাখে টানটান। রোজ আঙুর, কমলালেবু, স্ট্রবেরির মতো ফল খান। পাতে রাখুন টোম্যাটো, ক্যাপসিকাম, রেড বেলপেপার, ব্রকোলির সব্জি। ত্বক ভাল রাখতে প্রতিদিন একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ৯০ মিলিগ্রাম ও পূর্ণবয়স্ক মহিলার ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন।
প্রতীকী ছবি।
ভিটামিন ই
উজ্জ্বল ত্বক পেতে হলে রোজ পাতে ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখতেই হবে। ত্বকের জ্বালা ভাব, শুষ্কতার সমস্যা কমিয়ে ত্বককে আর্দ্র রাখে ভিটামিন ই। ত্বকের কালো দাগ ও বলিরেখা দূর করতেও এটি সহায়ক। পাতে রাখুন চিনাবাদাম, ভেজিটেবিল অয়েল, সিরিয়েল জাতীয় খাবার।
ভিটামিন ডি
ত্বককে জীবাণু ও ক্ষতিকর রাসায়নিকের হাত থেকে বাঁচায় ভিটামিন ডি। এর পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতেও ভিটামিন ডি-র ভূমিকা কম কিছু নয়। প্রতিদিন পাত ২০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি রাখা দরকার। খেতে পারেন মাখন, চিজের মতো দুগ্ধজাত খাবার। এছাড়াও পাতে রাখুন মাছ, ডিম ও মাছের লিভারের তেল।