সন্তান লাজুক মানেই সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে, এমন ভাবার কারণ নেই। ছবি: শাটারস্টক
অনেক বাচ্চারা বাকিদের সঙ্গে মিশতে পারে না। নতুন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সময় নেয়। এসব দেখে বাবা-মায়েদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তাঁরা মনে করেন, তাঁদের সন্তান বাকিদের তুলনায় পিছিয়ে পড়বে। তাই এই স্বভাব বদলাতে অনেকেই বাচ্চাদের উপর অহেতুক চাপ তৈরি করে ফেলেন। তাতে তাদের ক্ষতি হয় অনেক বেশি। কী করলে আপনার সন্তান উপকৃত হবে, সেগুলো জেনে নিন।
কোনও ছকে বেঁধে দেবেন না
আমার সন্তার খুব লাজুক— এই কথাটা ওর সামনে বারবার বলবেন না। তাহলে ছোটরাও সেটা বিশ্বাস করে হীনমন্যতায় ভুগবে। অন্য কেউও যদি সেটা করেন, আপনি বাধা দেবেন। কেউ যদি বলে, ‘আসলে ছেলেটা খুব লাজুক’, আপনি শুধরে দিয়ে বলবেন, ‘না লাজুক নয়, আজ কম কথা বলছে’।
ওকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেবেন না
কোথাও গেলে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে সন্তানকে উত্তর দেওয়ার সময় দিন। যারা একটু লাজুক প্রকৃতির হয়, তারা নতুন লোকেদের কথার উত্তর চট করে দিতে পারে না। কিন্তু আপনি অপেক্ষা করে দেখুন, আপনার সন্তান কিছু বলছে কি না। যদি দেখেন ওর খুবই সমস্যা হচ্ছে, তাহলে বাড়িতে অবসর সময় নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হলে যে ধরনের কথোপকথন হতে পারে, সেগুলো বাচ্চার সঙ্গে বলুন। খেলার ছলে প্র্যাকটিস করান।
ওর প্রকৃতি মেনে নিন
সব বাচ্চারা সমান হয় না। সকলের বেড়ে ওঠাও এক রকম হবে না। কিন্তু সেটা কোনও খামতি নয়, এটা বিশ্বাস করুন। কেউ লাজুক মানেই জীবনের সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে এমন নয়। বরং যেগুলো আপনার সন্তান করতে ভালবাসে সেদিকে নজর দিন। ওকে উৎসাহ দিন সব রকম কাজেই। নিজের জগতে থাকতে দিন। এতে তাঁদের কল্পনাশক্তি বাড়বে।
অনুষ্ঠান বাড়িতে একটু আগে পৌঁছোন
নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে আপনার সন্তানের সমস্যা হলে নতুন কোনও জায়াগায় যাওয়ার আগে তাকে সেই সম্পর্ক গল্প বলুন। কোনও পার্টিতে যাওয়ার হলে, যাওয়ার আগে সন্তানকে বলুন কাদের বাড়ি যাচ্ছেন, কারা আসবেন, কী হবে, কখন ফিরবেন— এগুলো আগে থেকে সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে নিন। অনুষ্ঠান শুরু সামান্য আগে পৌঁছে যান। যাতে সে একটু সময় পায় মানিয়ে নেওয়ার।