প্রতীকী ছবি।
‘দুধ না খেলে, হবে না ভাল ছেলে!’ একটা গোটা প্রজন্মকে বড় করতে গিয়ে মা-বাবার কাছে মগজধোলাইয়ের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল চন্দ্রবিন্দুর অতি বিখ্যাত এই গানের এই একটা লাইন। বাড়ি বাড়ি বাজত চন্দ্রবিন্দুর ক্যাসেট, আর মা-বাবা দুধ নিয়ে ছুটতেন শিশুর পিছনে। কিন্তু ‘ভাল ছেলে’ হওয়ার দৌড়ে দুধ খেয়ে বাকিদের থেকে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ কোনও বাচ্চাই খুব একটা অনুভব করেছে বলে মনে হয় না। দুধ না খাওয়ার বায়নার রেওয়াজ সেই একই রকম কোরাসে শোনা যায় প্রত্যেক বাড়ি থেকে।
প্রতীকী ছবি।
কিন্তু দুধ তো বাচ্চাদের খাওয়াতেই হবে। বেড়ে ওঠার সময়ে বাচ্চাদের শরীরের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই প্রয়োজনীয়। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল করা থেকে শুরু করে স্নায়ুর সুস্থতার জন্য ক্যালসিয়াম খুবই কার্যকর। কিন্তু দুধ খেতে নারাজ আপনার সন্তান। তাহলে ক্যালসিয়াম শরীরে বেশি মাত্রায় আসবে কী করে?
সোয়াবিন
সোয়াবিনে বিপুল পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম আছে। খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে সোয়াবিন রাখলে আপনার বাচ্চার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিয়ে আপনার চিন্তার কারণ অনেকটাই কমবে।
সব্জি
সবুজ পাতার সব্জি বেশি করে খেলে শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রার জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতি দিন খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে সব্জি রাখা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী।
কমলালেবু
দুধের ভক্ত একটু কম হলেও, বাচ্চাদের মধ্যে কমলালেবুর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট বেশি। ডায়েটের মধ্যে যদি নিয়মিত কমলালেবু রাখেন, তাহলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম হবে।
ওটস
বি-ভিটামিন ছাড়াও, ক্যালসিয়ামের জন্যেও ওটস খুবই জরুরী একটি খাদ্য। কাঠবাদামের দুধের সঙ্গে খেলে এই খাবার আপনার বাচ্চার জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর হতে পারে।
বাদাম
বিভিন্ন ধরনের বাদাম নিয়মিত খেলে আপনার বাচ্চার শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রার চিন্তা আর খুব একটা থাকবে না।