এই বছর পুজোর আমেজ ছিল কিছুটা আলাদা। ৫ দিনের এই উৎসব কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকের কারণে হয়ে গিয়েছিল একদম নিস্তব্ধ। যে উৎসবে গা ভাসানোর জন্য সমস্ত মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে, এবছর সেই উৎসবই ছিল মন মরা। অধিকাংশ মানুষের প্যান্ডেল - হপিং এর পরিকল্পনায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই কোভিড-১৯ মহামারির কোপ। এই পরিস্থিতিতে বাংলার বিভিন্ন পুজো কমিটি গুলিকে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য নিরাপদ পুজো মন্ডপের দিকেও নজর দিতে হয়েছে এবং সকলেই যাতে নিরাপদে পুজোর আমেজ উপভোগ করতে পারে তার জন্য তাদের অতিরিক্ত দায়িত্বশীল ভূমিকাও পালন করতে হয়েছে।
তবে এই দায়িত্বের মধ্যে পুজো মন্ডপে মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়টিও অতঃপ্রত ভাবে জড়িত। এই সময় প্রায় সমস্ত মানুষই উৎসবের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেন। তাই এই সময় বিশেষ করে বিভিন্ন পুজো মন্ডপে ভিড়ের মাঝে বা কোনও অ-স্বস্তিকর পরিবেশে মহিলাদের সুরক্ষা বিধির দিকেও কড়া ভাবে নজর দেওয়াও খুব জরুরি।
এই বছর পুজোয় সমস্ত মেয়েদের সুরক্ষার কথা ভেবেই নিহার ন্যাচরাল সারা কলকাতার কয়েকটি পুজো মন্ডপে বিশেষভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যাবস্থা করেছিল। এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি মায়ের তৃতীয় নয়নের আর্ট স্ট্রাকচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মায়ের এই তৃতীয় নয়নের মাধ্যমে মন্ডপে আগত সকল দর্শনার্থীদের ওপর যথাসম্ভব নজর রাখা হয়েছিল এই ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে। কোথাও কোনও উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটলে তা সরাসরি এই ক্যামেরার সাহায্যে মন্ডপে রাখা এলইডি স্ক্রিনে ধরা পরে তার জন্যই এই ব্যবস্থা করেছিল নিহার ন্যাচরাল।
মায়ের এই তৃতীয় নয়ন সমস্ত ভিড় পুজো মন্ডপ ও সংলগ্ন রাস্তাঘাটের সমস্ত ছবি তুলে ধরে প্রতিটি মেয়ের পুজোকে করে তুলেছে নিরাপদ ও সুরক্ষিত। নিহার ন্যাচরাল তাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে ফাঁকা রাস্তা হোক কিংবা ভিড় মন্ডপে মেয়েদের সুরক্ষিতভাবে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে সাহায্য করেছে।
নিহার ন্যাচরালের এই ক্যাম্পেইন সমস্ত মেয়েদের সুরক্ষিত করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি ইতিবাচক ও বাস্তব সমন্বিত ভূমিকাও পালন করেছে।