ছবি: প্রতীকী
গোটা বিশ্ব জুড়েই বছরের প্রথম দিনের উদ্যাপন হচ্ছে নানা রকম ভাবে। কেউ কেউ চান বছরের প্রথম দিনটি কাটুক উল্লাসে। কেউ কেউ আবার সারা বছর যেন মঙ্গলময় হয় তার প্রার্থনা করেন। দেশ ভেদে গোটা পৃথিবীতেই বছরের প্রথম দিনে বিশেষ কিছু সংস্কার পালনের চল রয়েছে। এখন এই সব প্রথাগুলির পিছনে বিজ্ঞানচেতনা, না কি এ সব কিছুই কুসংস্কার, তা নিয়ে বিতর্ক থাকবেই। তাই কার্যকারণ না খুঁজে স্রেফ মজার মজার প্রথা হিসাবেই জেনে নেওয়া যাক তার কয়েকটি সম্পর্কে।
লাতিন আমেরিকার কিছু প্রান্তে অনেকে টেবিলের তলায় বসে এক মিনিটে ১২টা আঙুর খান। প্রতীকী ছবি
জানালা দিয়ে জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলা
ইতালির বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রথা দেখা যায়। বছরের প্রথম দিন বাড়তি আসবাব ও বাতিল জিনিসপত্র অনেকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলেন। এই কাজ যাঁরা করেন তাঁদের বিশ্বাস এর ফলে নতুন বছরে ইতিবাচক জিনিসপত্র কিংবা ইতিবাচক ভাবনার পরিসর প্রশস্ত হবে বাড়ির ভিতরে।
মিনিটে ১২টি আঙুর খাওয়া
শুনে খুব সহজ মনে হলেও বিষয়টি কিন্তু খুব একটা সহজ নয়। বছরের প্রথম দিন লাতিন আমেরিকার কিছু প্রান্তে অনেকে টেবিলের তলায় বসে এক মিনিটে ১২টা আঙুর খান। তবে একসঙ্গে সব ক’টি আঙুর মুখে ঢোকালে চলবে না। আলাদা আলাদা করে খেতে হবে সেগুলি। যাঁরা এই প্রথা পালন করেন, তাঁদের বিশ্বাস এতে সুখের হয় নতুন বছর।
লাল অন্তর্বাস পরিধানের চল রয়েছে ব্রাজিল ও বলিভিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতীকী ছবি
পয়সা রেখে দেওয়া
সারা বছর যাতে আর্থিক সমৃদ্ধি বজায় থাকে, তার আশায় লাতিন আমেরিকাতেই অনেকে বছরের প্রথম দিন জামা কিংবা প্যান্টের পকেটে একটি বা দুটি মুদ্রা রেখে দেন। কেউ কেউ জুতোর মধ্যেও রাখেন পয়সা।
অন্তর্বাসের রং
নতুন বছরে একা থেকে দোকা হতে চাইছেন? তার জন্যেও এক বিশেষ প্রথা রয়েছে। অনেকে বছরের প্রথম দিন লাল রঙের অন্তর্বাস পরেন। বিশ্বাস করেন এতে নতুন বছরে প্রেম আসবে জীবনে। অন্য দিকে জীবনে শান্তি চাইলে সাদা আর সম্পদ চাইলে হলুদ অন্তর্বাস পরিধানের চল রয়েছে ব্রাজিল ও বলিভিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে। উল্টো দিকে, বছরের প্রথম দিনই কালো অন্তর্বাস পরলে সারা বছর দুর্ভাগ্য তাড়া করে বলে মনে করেন অনেকে।
দরজা খুলে রাখা
এই প্রথাটি সারা পৃথিবীরই বিভিন্ন প্রান্তে প্রচলিত। অনেকেই নতুন বছরের প্রথম দিন বাড়ির দরজা, জানালা খুলে রাখেন। কেউ মনে করেন এতে সৌভাগ্য প্রবেশ করবে ঘরে, কারও বিশ্বাস আগের বছরের জমে থাকা দুঃখ বেরিয়ে যাবে বাড়ি থেকে।