কী ভাবে কাটাবেন বছরের প্রথম দিন? ছবি: প্রতীকী
নতুন বছরের প্রথম দিন কেউ সন্তানকে নিয়ে চিড়িয়াখানা যান, কেউ ছবি দেখেন প্রেক্ষাগৃহে। কেউ আবার পরিবারের সঙ্গে বাড়িতেই কাটিয়ে দেন গোটা দিনটি। সব মিলিয়ে আর পাঁচটা দিনের তুলনায় এই দিনটিকে একটু আলাদা করে দেখেন বহু মানুষই। বড়দের তুলনায় ছোটদের আগ্রহ কিন্তু কোনও অংশে কম থাকে না। বাবা-মায়ের হাত ধরে মজায় মজায় বছরের প্রথম দিনটি কাটাতে চায় খুদেরাও। সন্তানের সঙ্গে কী ভাবে কাটাবেন বর্ষবরণের দিনটি?
১. অন্য রকম কোথাও ঘুরতে চলে যান। চিড়িয়াখানা কিংবা পার্কে এই দিন খুবই ভিড় হয়। তাই একটু অন্য রকম কোথাও যেতে পারেন। আলিপুর জেলে সম্প্রতি একটি সংগ্রহশালা তৈরি হয়েছে। সাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়েছে। কলকাতার কাছাকাছি থাকলে বাড়ির খুদেটিকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। যদি বাড়ির আশপাশে এমন কোনও গন্তব্য না থাকে, তবে সন্তানকে ঘুরিয়ে আনুন আপনার নিজের স্কুল থেকে। মা-বাবা কোথায় পড়াশোনা করতেন, দেখতে পাবে সন্তান।
২. নতুন কোনও কাজ শেখাতে পারেন সন্তানকে। বাড়িতে এক চিলতে জায়গা থাকলে গাছ লাগান সন্তানের সঙ্গে বসে। শিখিয়ে দিন তার মাটি তৈরি করা। চাইলে পাখির জন্য ছোট্ট একটি বাসাও তৈরি করতে পারেন। সেখানে পাখিদের আনাগোনা দেখেও ওর অনেকটা সময় কেটে যাবে।
বাবা-মায়ের হাত ধরে মজায় মজায় বছরের প্রথম দিনটি কাটাতে চায় খুদেরাও। ছবি: প্রতীকী
৩. বছরের প্রথম দিন বাড়ির সকলে মিলে একসঙ্গে বানিয়ে ফেলুন সহজ কোনও পদ। মাছ-মাংসের ঝোল তো প্রায়শই রান্না হয়। তার বদলে দুপুরে বাড়ির খুদেটিকে সঙ্গে নিয়ে বেক করতে পারেন কেক।
৪. প্রযুক্তির গুণে কল্পবিজ্ঞান আর কল্পনা করে নিতে হয় না এখন। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন থ্রিডি ছবি আসে প্রেক্ষাগৃহে। এই ধরনের ছবি বেশ পছন্দ করে ছবিরা। এখনও প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘অবতার’। বছর শুরুর দিনে সন্তানকে নিয়ে দেখে আসুন সেই ছবি। যদি ফেলু মিত্তিরকে ভাল লাগে, তবে দেখে আসতে পারেন ‘হত্যাপুরী’ও।
৫. বাজার থেকে কিনে আনুন রং। বাড়ির একটি দেওয়াল বেছে নিয়ে সন্তানের সঙ্গে রঙিন করে তুলুন সেই দেওয়ালটি। সন্তানের ঘরের যে কোনও দেওয়ালও রাঙিয়ে নিতে পারেন। একেবারে পেশাদারদের মতো হবে না হয়তো, কিন্তু তাতে নিজস্বতা থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে রং কিন্তু বাছতে হবে ভাল দেখে। সীসা দেওয়া রং স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। এমন রং কিনুন, যা শিশুদের উপযোগী হবে।