‘আর্টেমিস’ নামের রকেটের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের পর ফের এক বার চাঁদে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা করছে নাসা। ছবি: প্রতীকী
দশ বছরও লাগবে না, তার আগেই চাঁদে বসবাস শুরু করে দেবে মানুষ। এমনই দাবি করলেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানী হাওয়ার্ড হু। বর্তমানে ওরিয়ন লুনার স্পেসক্র্যাফট প্রোগ্রাম নামের একটি চন্দ্রাভিযান শুরু করেছে নাসা। সেই অভিযানেরই নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাওয়ার্ড। এই অভিযানে ‘আর্টেমিস’ নামের রকেটের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের পর ফের এক বার চাঁদে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা করছে নাসা।
গত সপ্তাহে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল আর্টেমিস-১। আমেরিকার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশযানটি রওনা দেয় চাঁদের উদ্দেশে। এই ‘আর্টেমিস-১’-এর উপরেই বসানো ছিল ‘ওরিয়ন’ নামের একটি মহাকাশযান। আপাতত যাত্রীবিহীন হলেও এই অভিযান সফল হলে তবেই পরের অভিযানে যাত্রী-সহ পাঠানো হবে সেটিকে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলি চিহ্নিত করা। তার সফল উৎক্ষেপণ হয় বুধবার। নাসা সূত্রে খবর, মিশন ‘আর্টেমিস-১’ সফল হয়েছে।
চাঁদের মাটিতে থাকতে পারলে লম্বা সময় ধরে মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ মিলবে। ছবি: প্রতীকী
“নিশ্চিত ভাবেই এই দশকে মানুষ চাঁদের মাটিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা কত দিন চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকব, তার উপর নির্ভর করে, তৈরি করা হবে বাসস্থান, চাঁদের মাটিতে চলবে রোভারও,” জানান হাওয়ার্ড। চাঁদের মাটিতে থাকতে পারলে লম্বা সময় ধরে মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ মিলবে বলেই দাবি তাঁর। মহাকাশবিজ্ঞানীর কথায়, চাঁদের মাটিতে বসবাস সম্ভব হলে তা আরও একটি দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। ভবিষ্যতে যদি দীর্ঘ সময় মহাকাশ অভিযান চলে, তখন কাজে আসবে এই অভিজ্ঞতা। বিষয়টিকে বলা হচ্ছে ‘ডিপ স্পেস’ অভিযান। অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপনের যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে, সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বিজ্ঞানী।