শিঙাড়া কিনতে গিয়ে বিপত্তি। ছবি: শাটারস্টক
অনলাইন কেনাকাটা যত জনপ্রিয় হচ্ছে, ততই বাড়ছে অনলাইনে জালিয়াতি করার প্রবণতাও। অনলাইন জালিয়াতিতে পরে লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছেন গ্রাহকরা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালে কর্মরত ২৭ বছর বয়সি এক চিকিৎসক এরকমই এক জালিয়াতির খপ্পড়ে পড়েছেন। অলনাইল শিঙাড়া অর্ডার করে চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।
বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করার উদ্দেশ্যে ২৫ প্লেট শিঙাড়া অর্ডার করেন চিকিৎসক, আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে খবারের দোকানের তরফ থেকে ওই ব্যক্তিকে অগ্রিম বাবদ ১৫০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়। দোকানের কথা মতো ওই ব্যক্তি ১৫০০ টাকার অনলাইন পেমেন্ট করেন। তার পর ওই ব্যক্তির কাছে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি মেসেজ আছে, যেখানে তাঁকে বলা হয়, তাঁর অর্ডারটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পর দোকানের তরফে ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরটি তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তি তখন চিকিৎসককে বাকি টাকাটা দেওয়ার জন্য একটি লেনদেন আইডি তৈরি করার কথা বলেন। দুর্ভাগ্যবশত, প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করার সময়ে চিকিৎসকরের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।
এর পর ওই চিকিৎসক ভইওয়াড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাঁদের তদন্ত শুরু করলেও এখনও কোনও খবর পাওয়া যায়নি প্রতারকদের।
এ প্রকার প্রতারণা থেকে কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?
১) খবরের কাগজে কিংবা সমাজমাধ্যমে রোজই এই রকম প্রতারণার খবর বেরোচ্ছে। সে সব খবরগুলিতে কী ভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে যাবতীয় লেখা থাকে। সময় বার করে সে খবরগুলি মন দিয়ে পড়ুন।
২) আপনার আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফোনে বা অপরিচিত ওয়েবসাইট বা লিঙ্কগুলির মাধ্যমে কখনও কারও সঙ্গে ভাগ করে নেবেন না। অললাইনে বিভিন্ন রকম প্রলোভণ দেখানো হয়, সেই সব প্রলোভনে ভুলেও পা দেবেন না।
৩) কোও সন্দেহজনক ইমেল এলেও সঙ্গে সঙ্গে আর পাঁচ জনকে জানিয়ে রাখুন। আপনার কোনও রকম ব্যক্তিগত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার আগে বার বার ওয়েবসাইট কিংবা ইমেল আইডি কিংবা ফোন নম্বরটি যাচাই করে নিন।