শ্যুটিংয়ের কারণে অনেক দিন হয়তো সন্তানের সঙ্গে দেখাই হয় না। ছবি: সংগৃহীত
মা হওয়া মুখের কথা নয়। একটা ফুটফুটে প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখালেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং যুদ্ধটা শুরু হয় তার পর থেকে। দেখভালের পাশাপাশি সন্তানের বন্ধু হয়ে ওঠাও সমান ভাবে জরুরি। মা আর সন্তানের সম্পর্কের বোঝাপড়া সহজ-সরল হলেই ভাল। অনেক মা আছেন, যাঁরা ঘর এবং বাইরে এক সঙ্গে সামলান। সন্তানের জন্য খুব অল্প সময় বরাদ্দ থাকে। বলিউডের অভিনেত্রীদের কথাই ধরা যাক। শ্যুটিংয়ের কারণে অনেক দিন হয়তো সন্তানের সঙ্গে দেখাই হয় না। কিন্তু তাতে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে সমস্যা হয়নি। কোন কৌশলে এমন সম্ভব হল, এই মাতৃদিবসে বাকি মায়েদের জন্য সেই পরামর্শ দিলেন বলিপাড়ার খ্যাতনামী মায়েরা।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন
আরাধ্যা জন্মানোর পর ঐশ্বর্য কাজ অনেক কমিয়ে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য বলেছেন, আরাধ্যা তাঁর জীবনের এক নতুন অধ্যায়। তাই প্রতিটি মুহূর্ত মেয়ের সঙ্গে কাটাতে চান। জোর করে কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়াতে তিনি বিশ্বাস করেন না। আরাধ্যা নিজের জীবন নিজের ইচ্ছে মতো গড়ে নিক, তিনি শুধু মা হিসাবে সঠিক পথ দেখাবেন।
করিনা কপূর খান
শ্যুটিং, সংসার, সন্তান—অত্যন্ত দক্ষ হাতে সামলান করিনা কপূর খান। দুই ছেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও যে অত্যন্ত মজার,করিনার ইনস্টাগ্রামের ছবিই তা বলে দেয়। তৈমুর এখন খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছে। ছোট ছেলে জেহকে এখনও সামলাতে হয়। কী করে সব কিছু সামলান, এই প্রশ্নের উত্তরে করিনা বারবারই বলেছেন, আত্মবিশ্বাসই তাঁকে দিয়ে সব কিছু করিয়ে নেয়
মালাইকা মনে করেন, সব সময় চোখ রাঙিয়ে শাসন করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
মালাইকা অরোরা
মালাইকা অরোরকে বি-টাউনের সবচেয়ে ‘কুল’ মা বললে অত্যুক্তি হবে না। বছর উনিশের রেহানকে শাসনে নয়, আদরে রাখেন বেশি। মালাইকা মনে করেন, সব সময় চোখ রাঙিয়ে শাসন করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তার চেয়ে বোঝানোর উপর বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। এতে দু’জনের পারস্পরিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
মীরা রাজপুত কপূর
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শাহিদ-পত্নী জানিয়েছেন, ‘‘সন্তানকে ভাল রাখতে সবার আগে মায়ের ভাল থাকাটা জরুরি। তাতে সন্তানও খুশিতে থাকবে। মাতৃত্ব অত্যন্ত সুন্দর অভিজ্ঞতা। সেটা উপভোগ করা উচিত।’’