ওড়িশায় ১৮-এর নীচে বিয়ে হয়ে যায় ৩.৭ শতাংশ মহিলার। প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে বেশির ভাগ মহিলারই বিয়ে হয়ে যায় ২১ বছরের মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি এই প্রবণতা লক্ষ করা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, রাজধানী দিল্লির প্রায় ১৭ শতাংশ এবং সারা দেশে প্রায় ৩০ শতাংশ মহিলার বিয়ে ২১ বছরের আগেই হয়ে যায়।
ঝাড়খণ্ডে এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৮-এর নীচে বিয়ে করা মহিলার সংখ্যাও সব থেকে বেশি। যথাক্রমে ৫.৮ এবং ৪.৭ শতাংশ। এর পরই রয়েছে ওড়িশা। ওড়িশায় ১৮-এর নীচে বিয়ে হয়ে যায় ৩.৭ শতাংশ মহিলার।
সারা দেশের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে মহিলাদের গড় বিয়ের বয়স সব থেকে বেশি। ২৬ বছর। এর পর রয়েছে পঞ্জাব এবং দিল্লি। এই দুই রাজ্যে মহিলাদের গড় বিয়ের বয়স ২৪.৪ বছর। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের গড় বিয়ের বয়স ২১। সারা দেশের মহিলাদের বিয়ের গড় বয়স ২২.৭ বছর।
গুজরাত, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে ২১ বা তার বেশি বয়সে ৮০ শতাংশের বেশি মহিলার বিয়ে হয়।
কেন্দ্রের এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দেশের গ্রামীণ এলাকাগুলির এক-তৃতীয়াংশ মহিলাদের বিয়ে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে হয়ে যায়। শহর এলাকাগুলির তুলনায় প্রায় ১৮.৬ শতাংশ বেশি।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে কেরালায় ১৮ বছরের কমবয়সি কোনও মহিলার বিয়ে হয়নি। যদিও ২১ বা এর আশপাশে বিয়ে হওয়া মহিলাদের সংখ্যা প্রায় ৭২.৬ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে এই সংখ্যা ৭২ শতাংশ।