প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
বর্ষাকালে বৃষ্টির ছাঁট এসে ঘরের কোণে জমে রয়েছে, আর আপনি সেটা খেয়াল না করেই অসাবধানে পা রেখে পিছলে গেলেন। এই রকম পড়ে যাওয়া, চোট পাওয়া বর্ষাকালে লেগেই থাকে। সামান্য কেটে গেলে, তাও ওষুধ লাগালে সেরে যাবে। কিন্তু চোট বেশি হলে ভেঙে যাওয়া, মচকে যাওয়া, কালশিটে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই সতর্ক থেকে এই ধরনের অপ্রত্যাশিত আঘাত এড়ানো উচিত। বেশ কয়েকটি কারণে পড়ে গিয়ে চোট লাগতে পারে যেমন, ভুল জুতো পরে ভিজে থাকা মেঝের উপর হাঁটলে, ভিটামিন ডি-র সমস্যা থাকলে, হাঁটা ও ভারসাম্যের সমস্যা হলে, ভাঙা কিংবা এবড়ো খেবড়ো সিঁড়ি থাকলে, ঘর অগোছালো থাকলে, আলো কম থাকলে, চোখের সমস্যা থাকলে।
পড়ে গেলে কী ধরনের আঘাত লাগতে পারে?
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্ক লোকেদের হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সাধারণত কব্জি, হাত, কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ার সমস্যাই বেশি দেখা দেয়। কব্জি ও গোড়ালি মুচকে যেতে পারে, হাঁটু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, কাঁধের হাড় সরে যেতে পারে, পেশি মচকে গিয়ে ব্যথা লাগতে পারে। শিরদাঁড়া ও স্নায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পড়ে গিয়ে। কেটে যাওয়া, কালশিটে পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ট্রম্যাটিক ব্রেন ইঞ্জুরি, পেশি, লিগামেন্ট ইত্যাদিতে বড় সড় আঘাত লাগতে পারে। এতে কারও কারও চলাফেরার ক্ষমতা চলে যেতে পারে। এর প্রভাব কিন্তু দীর্ঘ। তাই এই রকম সমস্যা বুঝলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
প্রতীকী ছবি।
কী ভাবে চোট পাওয়া এড়াবেন?
১) সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করার সময় সিঁড়ির হাতল ধরে ওঠা-নামা করুন। বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকলে তাঁর প্রয়োজনমতো জায়গায় দেওয়ালে হাতল লাগান।
২) চলাফেরা করার রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো আছে কিনা দেখুন, না হলে টর্চ ব্যবহার করুন।
৩) ভিজে বা এবড়ো খেবড়ো মেঝেতে আরামদায়ক, স্লিপ করা প্রতিহত করতে পারে এমন জুতো পরুন। উঁচু হিল বা চামড়ার জুতো একেবারেই পরবেন না।
৪) হাঁটার সময় একটু সতর্ক থাকুন। মোবাইল দেখতে দেখতে হাঁটবেন না। পথচারীরা যে পথ ব্যবহার করেন, সেই পথেই হাঁটুন।
প্রতীকী ছবি।
৫) বাড়ি ঢোকার আগে পাপোশে ভাল করে পা মুছে নিয়ে ঢুকুন।
৬) ভিজে জামা ও ছাতা চলার পথে রাখবেন না।
৭) আবহাওয়া ভাল না থাকলে বা খুব বৃষ্টির সময় বাইরে হাঁটতে যাবেন না।
৮) রাস্তার খানা ডোবা বা ভিজে কাদার জায়গা এড়িয়ে চলুন।
৯) লোকে কোথাও পা মুছে থাকলে বা ছাতা ঝাঁকিয়ে জল ঝরিয়ে রাখলে সেই রকম জায়গায় ঢোকা ও বেরোনোর আগে সতর্ক থাকুন।
১০) ভারসাম্যের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে স্ট্রেংথ ট্রেনিং নিতে পারেন।
১১) চোখের সমস্যা থাকলে চক্ষুবিশেষজ্ঞকে দিয়ে চোখ দেখিয়ে নিন।
১২) ভিটামিন ডি-র সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি-র ওষুধ খেতে পারেন।
১৩) বাথরুমেও সতর্কতার জন্য হাতল লাগাতে পারে।