ব্যক্তিভেদে পছন্দ-অপন্দের সংজ্ঞাও বদলে যায়। প্রতীকী ছবি।
মনের মতো প্রেমিকের খোঁজ মেলা কি আর চারটিখানি কথা! ব্যক্তিভেদে পছন্দ-অপন্দের সংজ্ঞাও বদলে যায়। কোনও মহিলার চাহিদা থাকে লম্বা প্রেমিকের, কারও আবার পছন্দ সুদর্শন যুবক! তবে ক্যান্ডিস ক্লস নামের নিউ ইয়র্কের মডেলের চাহিদা একটু ভিন্ন প্রকৃতির। বোকা প্রেমিক তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়।
প্রথম ডেটে রীতি মতো যুবকদের ‘আইকিউ টেস্ট’ নেন এই মডেল। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই মিলবে দ্বিতীয় ডেটে যাওয়ার সুযোগ।
মডেলের বক্তব্য, ‘‘কোনও যুবক যতই সুদর্শন হোন না কেন তাঁর বুদ্ধি কম হলে কী করে চলবে?’’ যাঁরা চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির সঙ্গে ওয়াকিবহল নন, তাঁদের সঙ্গে বাড়তি কথা বলে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে রাজি নন ক্যান্ডিস।
ক্যান্ডিস ক্লস।
এই পরীক্ষাটিকে কিন্তু হালকা ভাবে নেবেন না! পরীক্ষায় পাশ করা খুব একটা সহজ নয়। ক্যান্ডিস যে সব প্রশ্নপত্র তৈরি করেন, তাতে সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক ঘটনা, অর্থনীতি, অঙ্ক,বিজ্ঞান, সব বিভাগ থেকেই প্রশ্ন থাকে। অর্থাৎ, ক্যান্ডিসের প্রেমিক হওয়ার সাধ থাকলে এই সব বিভাগেই আপনাকে পণ্ডিত হতে হবে।
ক্যান্ডিস কিন্তু নিজেও বেশ বুদ্ধি ধরেন। আমেরিকার আইকিউ পরীক্ষা মেসনায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ১৩৬। এই পরীক্ষায় ১২০ থেকে ১৪০-এর মধ্যে নম্বর পেলেই সেই ব্যক্তিকে যঠেষ্ট বুদ্ধিমান বলে ধরা হয়।
ক্যান্ডিস জানান, তিনি এক জন মডেল বলে অনেকেই প্রথম দেখায় তাঁকে বোকা বলে মনে করেন। তবে তাঁদের ভুল প্রমাণ করতে পেরে তিনি বেশ আনন্দিত হন। মডেল মানেই বোকা, এই ধারণা যে ভুল, তা ক্যান্ডিসের হাবভাবে স্পষ্ট।