লৌকিক প্রথা মেনে মেক্সিকোর মেয়রের সাথে বিয়ে হল কুমিরের। ছবি: সংগৃহীত।
‘বলি রাজকন্যা কি কম পড়েছে?’ মেক্সিকোতে কি মেয়ের এতই অভাব যে শেষমেশ কুমিরকে বিয়ে করতে হল দক্ষিণ মেক্সিকো শহরের মেয়রকে। বিয়ের সাদা গাউন পরিয়ে, নাচ-গান করে, রীতিমতো বিয়ের নিয়ম মেনেই ‘অ্যালিসিয়া অ্যাড্রিয়ানা’ নামের কুমিরটিকে বিয়ে করলেন মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা।
বিয়ের দিন কুমির কনেকে নিয়ে কনেযাত্রীরা বিয়ের আসরে পৌঁছন। বিয়ের রীতি মেনে কনেকে প্রথমে খাওয়াদাওয়া করানো হয়। সাজিয়ে দেওয়া হয় কনের সাজে। তার পর শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। বর-কনের চুম্বন পর্বটিও উপভোগ করেন সকলে। সব শেষে কনেকে কোলে তুলে নিয়ে শেষ হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু ভাবছেন তো হঠাৎ মানুষ ছেড়ে কুমিরকে বিয়ে করতে গেলেন কেন?
মেক্সিকোর সান পেদ্রো শহরের বহু পুরনো রীতি মেনেই এই বিয়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির মিলনের নিদর্শন হিসাবেই এই বিয়ের প্রথা চলে আসছে বহু দিন ধরেই। সে দেশে কুমিরকে ধরিত্রী মায়ের প্রতীক বলে মনে করা হয়। তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হয় স্থানীয় নেতাকে। সেই বছর যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়, সঠিক ভাবে চাষাবাস হতে পারে— এ সব কারণেই বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আহ্বানে এখনও ভারত বিভিন্ন প্রদেশে যেমন ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ চলে আসছে। বহু দেশেই এমন নানা প্রথা থাকলেও কালের নিয়মে সেগুলি হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মেক্সিকোর এই অঞ্চলের বাসিন্দারা পুরনো প্রথা মেনে চলতেই পছন্দ করেন বরাবর। তাই আজও ধুমধাম করে মানুষ-কুমিরের বিয়ে হয় সেখানে।