প্রতীকী ছবি।
নিয়মিত ঋতুস্রাব হলে তা সুস্থতার লক্ষণ। কারণ ঋতুস্রাবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মনের ভাল থাকা, হরমোনের সমতা। যাঁরা সন্তান চান, সেই সব মহিলাদেরও নিয়মিত ঋতুস্রাব হওয়া দরকার। ঋতুস্রাব অনিয়মিত হওয়া মানেই, শরীরের কোথাও না কোথাও সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস। এই অসুখের কারণে ওজন বৃদ্ধি, লিপিড প্রোফাইল বৃদ্ধি, এমনকি ডায়াবিটিসের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ভারতে প্রায় ৩০ শতাংশ মহিলাই কিন্তু পিসিওডি বা পিসিওএস-এর সমস্যায় ভোগেন। এই ধরনের অসুখে স্বাভাবিকভাবেই মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়। বিপাক প্রক্রিয়ার গণ্ডগোল থেকেই যেহেতু এই পিসিওএসের মতো রোগ দানা বাধে, তাই হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
প্রতীকী ছবি।
হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন?
হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে গেলে পিসিওএস-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পিসিওএস-এর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিজের জীবনযাত্রার ধরনটাই পাল্টে ফেলুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অতিরিক্ত ওজন ঝরান। প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন। তিনি বলে দেবেন, কোন কোন খাবার আপনার শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয়। আর রোজ একটা নির্দিষ্ট সময় শরীরচর্চা করুন। এই ধরনের অসুখ থাকলে ধূমপানের অভ্যাস একেবারে ত্যাগ করা উচিত। আর নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি কোনও কারণে হৃদ্রোগজনিত কোনও সমস্যার আভাস মেলে, দেরি না করে চিকিৎসককে জানান।