মহিলা না কি পুরুষ? রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের!
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছিল। আর ছিল প্রবল পেটে ব্যথা। এই উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতেই চিনের বাসিন্দা চেন লি জানতে পারলেন, তার শরীরে রয়েছে ডিম্বাশয় ও জরায়ু। পুরুষদেহে ডিম্বাশয় ও জরায়ুর উপস্থিতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের। এমনটা কী করে সম্ভব ভাবছেন নিশ্চই?
৩৩ বছর ধরে পুরুষ পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকার পর তাঁর ক্রোমোজোম পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানালেন, চেন আদতে মেয়ে। দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশের বাসিন্দা চেনের অনিয়মিত প্রস্রাবের সমস্যা হত। আর সেই কারণেই বয়ঃসন্ধিকালে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। তখন থেকেই মাসের নির্দিষ্ট সময়ে তার প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হতে শুরু করে। সম্প্রতি বেশ কিছু পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, চেনের শরীরে মহিলাদের যৌন ক্রোমোজোম রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর শরীরে মহিলাদের প্রজনন অঙ্গেরও উপস্থিতি মিলেছে। এমনকি তার শরীরে পুরুষদের শরীরে থাকা যৌন হরমোনের উপস্থিতি কম। সঙ্গে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্ট্রেরোনের মাত্রা অনেকটাই বেশি।
তার শরীরে যাবতীয় পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, চেন জন্ম থেকেই উভলিঙ্গ। তাঁর শরীরে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের প্রজনন অঙ্গই রয়েছে। তাঁর মূত্রের সঙ্গে রক্তপাতের কারণ হল ঋতুস্রাব।
সবটা জানতে পেরে চেন তাঁর শরীর থেকে জরায়ু ও ডিম্বাশয় বাদ দেওয়ার কথা ভাবেন। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা সম্ভবও হল। চেন এখন পুরুষের মতো করে জীবন কাটাতে পারবেন। তবে তাঁর যৌন জীবনে তেমন সুখকর হবে না। তিনি কোনও দিন পিতা হতে পারবেন না, তার কারণ তাঁর শুক্রাণু উৎপাদনের ক্ষমতা নেই।