Letter

শৈশবে বোতলে চিরকুট ভরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন সমুদ্রে, ৩৭ বছর পর রহস্যজনক ভাবে ফিরে এল চিঠি

সমুদ্র কি সত্যি সব গ্রাস করে নেয়, না কি ফিরিয়েও দেয়, তা পরীক্ষা করতেই বোতলে চিরকুট ভরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। তিন দশক পরে ফিরে এল সেই চিরকুট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:০৬
Share:

তিন দশক পরে সেই চিরকুট অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ায় আপ্লুত হয়ে পড়েছেন ট্রয়। ছবি: সংগৃহীত

নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর লেখা চিরকুট একটি কাচের বোতলে ভরে মহাসমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন ওয়াশিংটনের বাসিন্দা ট্রয় হেলার। ৩৭ বছর পর সেই চিরকুটই ফিরে এল তাঁর কাছে।

Advertisement

ট্রয়ের বয়স যখন ১০, সেই সময়ে ফ্লোরিডার ভেরো সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন বাবা-মায়ের সঙ্গে। সমুদ্রে কিছু ভাসিয়ে দিলে সত্যি তা আর ফিরে আসে কি না, পরীক্ষা করে দেখতেই একটি কাগজে নিজের পরিচয় এবং মোবাইল নম্বর লিখে সেটি ঠান্ডা পানীয়ের বোতলে ভরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছোটবেলার এই কাণ্ডকারখানার কথা ভুলেও গিয়েছিলেন। তিন দশক পরে সেই চিরকুট অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ায় আপ্লুত হয়ে পড়েছেন ট্রয়।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনের বাসিন্দা নিকোল টোরের স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে ছুটির দিনে ভেরো সমুদ্রসৈকতে গিয়েছিলেন। নিকোল এবং তাঁর স্ত্রী কেটি দু’জনেই স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। রবিবার ছুটির দিন দেখে মেয়েদের নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। মেয়েদের সঙ্গে ছুটোছুটি করার সময় হঠাৎই একটি বোতল পায়ে ঠেকে নিকোলের। বোতলের মধ্যে থাকা চিরকুটটি দেখেই কৌতূহল জাগে। পাশে পড়ে থাকা একটি পাথর দিয়ে বোতলটি ভেঙে চিরকুটটি খুলে দেখেন। সেই চিরকুটটিতে লেখা ছিল, ‘‘যিনি এই চিরকুটটি পাবেন, এখানে লেখা নম্বরে ফোন করে আমাকে দয়া করে যোগাযোগ করবেন।’’ লেখাটি পড়ে আর দেরি করেননি নিকোল। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসায় ফোন তোলেননি ট্রয়। কিছু ক্ষণ পর তাঁর কাছে একটি মেল আসে। সেখানেই তিনি দেখতে পান ৩৭ বছর আগে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া চিরকুটের ছবিটি কেউ খুঁজে পেয়েছেন। নিজেকে সামলাতে না পেরে নিকোলকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। ট্রয় বিশ্বাস করতেন যে সমুদ্র নিলেও, তা ফিরিয়ে দেয়। সেই আশায় নিজের ফোন নম্বর আর মেল আইডিও পরিবর্তন করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement