ট্রেস পরিকল্পনা করেন ৩ হাজার নারীকে হত্যা করে ‘শোধ’ নেবেন। প্রতীকী ছবি।
কোনও মহিলা তাঁর সঙ্গে মিলনে রাজি হননি। আর তা থেকেই জন্ম নেয় ক্ষোভ। পরিকল্পনা করেন ৩ হাজার নারীকে হত্যা করে ‘শোধ’ নেবেন। এমনই অভিযোগে সাজার মুখে আমেরিকার ওহায়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইশ বছর বয়সি এক ছাত্র। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম ট্রেস গেঙ্কো। গণহত্যার পরিকল্পনা করে একটি ইশতেহারও রচনা করেন তিনি, দাবি প্রশাসনের।
অভিযুক্ত যুবক নিজের ডাকনাম রেখেছিলেন ‘অনিচ্ছাকৃত ব্রহ্মচারী’। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অনলাইনে একটি দল চালাতেন তিনি। অভিযোগ, সেই দলে সমমনস্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে নারীদের উপর অত্যাচারের ছক কষতেন ট্রেস। ওই দলের সদস্যরা মনে করতেন, তাঁদের সঙ্গে মিলনে অনিচ্ছুক সব নারীকেই শয্যাসঙ্গী করার অধিকার রয়েছে তাঁদের। যাঁরা রাজি হচ্ছেন না, তাঁদের উপর অত্যাচার করাই শ্রেয়। এই মর্মে নারীদের ‘শাস্তি’ দিতে ট্রেস গুলি চালানোর পরিকল্পনা করেন বলে দাবি প্রশাসনের। অনুপ্রেরণা হিসাবে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চালানো এলিয়ট রজারের প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন ট্রেস। ২০১৪ সালের ওই গুলি-কাণ্ডে ৬ জনের মৃত্যু হয়।
নারীদের ‘শাস্তি’ দিতে ট্রেস গুলি চালানোর পরিকল্পনা করেন বলে দাবি প্রশাসনের। প্রতীকী ছবি।
তদন্তকারীদের দাবি, গুলি চালানোর জন্য তিনি একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল ও প্রচুর গুলি কেনেন। সঙ্গে কেনেন বিশেষ দস্তানা, বুলেটরোধী জ্যাকেট, ‘প্রতিশোধ’ লেখা জামা, বিশেষ মুখোশ ও ছুরি। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রেকি করতেও যান তিনি। সে বছরই ১২ মার্চ তারিখে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ট্রেসের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাড়ি ও গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র। শুরু হয় মামলা। সেই মামলাতেই চলতি সপ্তাহে আমেরিকার একটি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করলেন ট্রেস। এখনও পর্যন্ত সাজা ঘোষণা না হলেও, এ হেন অপরাধে তাঁর যাবজ্জীবন কারাবাস হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞদের কেউ কেউ।