নিজের শাড়ি আনতে গিয়ে প্রতিবেশী সঞ্জয় প্রসাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় মহিলার। প্রতীকী ছবি।
কখনও ট্রেনে দুই ব্যক্তির হাতাহাতি, কখনও আবার বাজারে দুই মহিলার মধ্যে তুমুল লড়াই। হাটে-বাজারে, ট্রেনের কামরায় এ রকম ঝগড়াঝাঁটি দেখতে ভারতবাসীরা বেশ অভ্যস্ত। পাড়ায় পাড়ায় ছোটখাটো ব্যাপারে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকে। তবে গুজরাতের গান্ধীনগরে ৩৬ বছরের এক মহিলা যে কারণে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন, তা শুনে আপনিও অবাক হবেন বইকি!
তাঁর বারান্দা থেকে একটি শাড়ি উড়ে চলে যায় প্রতিবেশীর বাড়িতে আর সেই নিয়েই ধুন্ধুমার কাণ্ড। এই কারণেই দুই প্রতিবেশী মিলে তাঁকে মারধর করেন। হাতাহাতিতে নাকও ফেটে যায় মহিলার। আক্রান্ত হন মহিলার স্বামীও।
ছত্রালের হরিদর্শন সোসাইটির বাসিন্দা ইন্দু যাদব এই বিষয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর করেন। স্বামী দীননাথ যাদব ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন ইন্দু। সোমবার দুপুরে তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁর প্রতিবেশী সতেন্দ্র পালের স্ত্রী তাঁকে জানান, শাড়িটি অন্য প্রতিবেশীর বাড়ির সামনে ঝুলছে। নিজের শাড়ি আনতে গিয়ে প্রতিবেশী সঞ্জয় প্রসাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। ইন্দু তাঁকে জানান যে, শাড়িটি হাওয়ায় উড়ে গিয়ে তাঁর বাড়িতে চলে আসে। তবুও সঞ্জয় তাঁকে মারধর শুরু করেন। লাঠিও চালান। ঘুষির আঘাতে তাঁর নাক থেকে রক্তপাত শুরু হয়। স্ত্রীর আর্তনাদ শুনে দীননাথ তাঁকে বাঁচাতে এলে তিনিও আক্রান্ত হন।
দীননাথ পুলিশকে জানান, সঞ্জয় তাঁকে এবং ইন্দুকে মারার হুমকি দিতে শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে সঞ্জয় নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।