পুরুষ যৌনাঙ্গ নিয়ে এখনও অনেক ধারণাই পরিষ্কার নয়।
যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি কথা না বলা, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া, তার সঙ্গে নিজের শরীর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকা— এ সব কারণে যৌনাঙ্গ নিয়েই সঠিক ধারণা থাকে না অনেকের।
বহু পুরুষই জানেন না, তাঁদের যৌনাঙ্গ ঠিক কী ভাবে কাজ করে, কোন কোন অভ্যাসের প্রভাব পড়ে যৌনাঙ্গের উপর। পুরুষ যৌনাঙ্গ নিয়ে তেমনই কয়েকটি কম জানা এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তথ্য রইল এখানে।
• গড় দৈর্ঘ্য: ভারতীয় পুরুষদের যৌনাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৫.৫৬ ইঞ্চি। এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যের যৌনাঙ্গের রেকর্ড রয়েছে ১৩.৫ ইঞ্চি।
• ধূমপানের প্রভাব: যে পুরুষরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে। স্বাভাবিকের তুলনায় এক সেন্টিমিটার পর্যন্ত কমে যেতে পারে যৌনাঙ্গের দৈর্ঘ্য। মদ্যপানেও এই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ধূমপানের প্রভাব অনেক বেশি।
• মাথার গড়ন: কখনও ভেবে দেখেছেন, পুরুষ যৌনাঙ্গের মাথার গড়নটি ওই রকম কেন? বিবর্তনের ইতিহাস বলছে, এর পিছনে কাজ করেছে পুরুষদের যৌনপ্রতিযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বভাব। নারীর যৌনাঙ্গে বেশ কিছু দিন বেঁচে থাকতে পারে শুক্রাণু। অন্য পুরুষের সঙ্গে মিলনের সময়ের কোনও শুক্রাণু যদি নারীর যৌনাঙ্গে থেকে যায়, তাকে দু’পাশ দিয়ে ঠেলে বার করে দেওয়ার মতো গড়ন পুরুষের যৌনাঙ্গের মাথার। প্রকৃতিই এমন আকার দিয়েছে অঙ্গটিকে।
যৌনসঙ্গমের সময়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গের চেয়ে মেরুদণ্ডের ভূমিকা বেশি।
• আসল ভূমিকা মেরুদণ্ডের: আপাত ভাবে মনে হতে পারে, পুরুষের যৌনক্ষমতার পুরোটাই হয়তো নির্ভর করছে যৌনাঙ্গের উপর। আসলে তা নয়। পুরোটাই নির্ভর করছে মেরুদণ্ডের উপর। কখন যৌনাঙ্গ উত্তেজিত হবে, কখন অর্গ্যাজম হবে— সবই মেরুদণ্ডের উপর নির্ভর করে। তাই সুস্থ যৌনজীবন পেতে যৌনাঙ্গের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে মেরুদণ্ডেরও।
• সুগন্ধের প্রভাব: সঙ্গমের সময়ে যদি ঘরে কোনও সুগন্ধি দ্রব্য রাখা যায়, তা হলে পুরুষের যৌনাঙ্গের ক্ষমতা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এমনই বলছে পরিসংখ্যান।