ছোটবেলায় খাওয়া রকমারি পেপসি খুদের জন্য তৈরি করতে পারেন বাড়িতেই। ছবি: সংগৃহীত।
ছোটবেলা বললেই অনেকের মনে পড়বে ঠেলাগাড়ির রঙিন কাঠি আইসক্রিম আর পেপসি। নরম পানীয়ের ব্র্যান্ডেড ‘পেপসি’ নয়, লম্বা প্লাস্টিকে জমাট বাঁধা বরফ। কোনওটা সাদা, কোনওটা লাল, কোনওটা আবার চকোলেট স্বাদের। প্যাকেটের মুখটা একটু কেটে দিলেই বেরিয়ে আসত ঠান্ডা পেপসি। স্কুল থেকে ফেরার পথে বা ছুটির দুপুরে সেই পেপসি খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা। এখনকার অনেক শিশুই সে সব জানে না।
সেই ছোটবেলা নিজে ফিরে পেতে আর বাড়ির ছোট্ট সদস্যটিকে আনন্দ দিতে ঘরেই কিন্তু বানিয়ে ফেলতে পারেন রকমারি পেপসি।
কেন বাড়িতে বানাবেন?
খুদে জল খায় না, ফল দেখলেই পালিয়ে যায়, এমন ভূরি ভূরি অভিযোগ থাকে মায়েদের। গরমের দিনে বিভিন্ন ফলের রস দিয়ে ঘরে তৈরি পেপসি যেমন জলের অভাব মেটাবে, তেমনই পুষ্টিও জোগাবে শরীরে। তা ছাড়া নিজের হাতে সন্তানের জন্য এ রকম কিছু বানানোর মধ্যে জুড়ে থাকে বাড়তি আনন্দ। সেই সঙ্গে ছোটবেলার স্মৃতিতে ভেসে সন্তানকে আপনার শৈশবের গল্পও শোনাতে পারেন।
কী ভাবে বানাবেন পেপসি?
পেপসি মানেই রঙিন। তাই এমন ফল বেছে নিন, যার রস বেশ রঙিন হবে। চাইলে বিভিন্ন ফলের রস একসঙ্গে মিশিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন পেপসি। চিনির বদলে ব্যবহার করতে পারেন মধু। কমলালেবুর রস বের করে তার সঙ্গে স্বাদমতো বিটনুন, মধু বা চিনি মিশিয়ে নিলেই কমলা রঙের পেপসি হয়ে যাবে। লাল রঙের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ডালিম, বেদানা, স্ট্রবেরি, তরমুজ। হালকা হলুদ রং পাওয়া যাবে আনারাসের রস থেকে। আর সাদা রঙের জন্য পাতিলেবুর রসের সঙ্গে জল, নুন, চিনি মিশিয়ে নিলেই হবে।
কী ভাবে জমাবেন?
পেপসি জমানোর জন্য অনলাইনে ছাঁচ ও প্যাকেট পাওয়া যায়। ‘আইস পপ ব্যাগ’ বলে খুঁজলেই বিভিন্ন কোম্পানির রকমারি প্যাকেট মিলবে। সেই প্যাকেটেই ফলের রস ঢেলে ফ্রিজে জমিয়ে নিন পেপসি।