প্রতিদিন শরীরের আলাদা আলাদা অংশের জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম করুন।
শরীরের মেদ ঝরানোর পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতে রোজ সকাল-বিকেল সময় হাতে নিয়ে জিম তো যাচ্ছেনই। সঙ্গে রয়েছে ডায়েটের তালিকাও। ওজন ঝরাতে ও পেশীর জোর বাড়াতে ওয়েট ট্রেনিং অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই ওয়েট ট্রনিংয়ের গোড়ায় থেকে যায় অনেক ভুল, যার খেসারত দেয় শরীর।
ওয়েট ট্রেনিং করার আগে একজন প্রশিক্ষিত ট্রেনারের সাহায্য ও তার পরামর্শ নিয়ে নিন। নিজের ইচ্ছে মতো ওয়েট তোলার চেষ্টা করলেই হতে পারে হিতে বিপরীত।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একেবারে খালি পেটে কখনও ওজন তোলা উচিত নয়, শরীরকে আর্দ্র রাখতে হলে খাবারের পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণের জল খাওয়াটাও জরুরি। কেউ যদি কেবল ওয়েট ট্রেনিং করতে চান, তবে বিশেষ কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলুন।
ওজন ঝরাতে ও পেশীর জোর বাড়াতে ওয়েট ট্রেনিং অত্যন্ত জরুরি
সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ওজন তোলা জরুরি: সপ্তাহে কেবল এক বা দু’দিন ওজন তুললে আপনি কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন না। তাই চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত তিনদিন করতে। প্রথমদিকে পর পর তিনদিন না করে একদিন বাদ দিয়ে করুন। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে সময় ও দিন বাড়িয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন শরীরের আলাদা আলাদা অংশের জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়াম করুন। তা হলে পেশীর পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাবে প্রতিটি অঙ্গ।
আরও পড়ুন: সন্তানের উচ্চতা কিছুতেই বাড়ছে না? ডায়েটে রাখুন এই সব্জিগুলি
সঠিক ওজন তুলুন: ঠিক কতটা ওজন তোলা আপনার জন্য উপযোগী, তা বুঝবেন প্রশিক্ষিত ট্রেনারই। একই ওজনে আটকে থাকলেও চলবে না, সময় ও পেশীর শক্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজনেও আনতে হবে তারতম্য।
পুরো শরীরের ব্যায়াম করতে হবে: চেস্ট, ব্যাক, বাইসেপ, ট্রাইসেপ, কাঁধ, পা, কোনও অঙ্গই বাদ দিলে চলবে না। পুরো শরীরের ব্যায়াম করা আবশ্যক, তবেই ঠিকঠাক ফল পারে।
খুব বেশি কার্ডিও করবেন না: বেশি কার্ডিও করলে বেশি ক্যালোরি পোড়ে, এ কথা ঠিক। কিন্তু এ কথাও ঠিক যে অতিরিক্ত হলে পেশীর শক্তি কমে যায়। প্রচুর কার্ডিও করার চেয়ে হাই ইন্টেনসিটি কার্ডিও আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডিসিপ্লিন মেনে চলুন: যখনই মন চাইল তখনই ব্যায়াম করলে কিন্তু কোনও ফল পাবেন না। ওয়েট ট্রেনিংয়ের জন্য সঠিক নিয়ম মেনে চলা একান্ত জরুরি। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া, ঘুম না হলে পেশির শক্তি কখনওই বাড়বে না।