মদ্যপানের আসক্তি দূর করবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক।
কোনও বিশেষ দিনের উদ্যাপনে হোক কিংবা মানসিক চাপ দূর করতে, দুঃখ ভুলতে হোক বা নিছক অভ্যাসবশত— মদ্যপানের রয়েছে একাধিক কারণ। অথচ শরীরে হাজারটা রোগ বাসা বাঁধার পিছনে চিকিৎসকেরা সবার আগে এই কারণটিকেই দায়ী করেন। অনেকে চাইলেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। মাত্রাছাড়া মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে যাঁদের, তাঁদের পক্ষে মদ্যপান ছাড়া কঠিন কাজ। ইচ্ছা থাকলেও পেরে ওঠেন না তাঁরা। তাই মদের নেশায় আসক্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হোন। কী ভাবে বুঝবেন, আপনি মদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন?
১) এক দিনও মদ্যপান না করে থাকতে পারছেন না। মদ খাওয়ার ছুতো খুঁজছেন রোজ।
২) অবসর সময়েও মদ খাওয়ার কথাই ভেবে চলেছেন।
৩) একটা পেগ খাবেন ভেবে শুরু করলেও একের পর এক পেগ খেয়েই চলেছেন। নিজেকে কিছুতেই আটকাতে পারছেন না।
দিনের যে সময়ে সাধারণত মদ্যপান করেন, সে সময়ে অন্য কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন নিজের মদ্যপানের অভ্যাস?
যদি মদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, তা হলে কিন্তু সতর্ক হতেই হবে। মদ খাওয়ার অভ্যাস শরীরে হাজারটা রোগ ডেকে আনে। তাই এই অভ্যাসে লাগাম টানার জন্য জীবনধারায় কী কী বদল আনবেন জেনে নিন।
১) পরিমাণ কমানোর চেষ্টা না করে, একেবারে মদ্যপান না করে কাটানোর চেষ্টা করুন কয়েকটি দিন। প্রথম দিকে কষ্ট হবে, কিন্তু তার পর সামলেও নিতে পারবেন নিজেকে।
২) দিনের একটি সময়ে খুব বেশি করে মদ্যপানের টান বাড়ছে? এমন সময়ে নরম কোনও পানীয় খান। যত বার ইচ্ছা করবে মদ্যপান করতে, তত বার জল বা অন্য পানীয় খেতে থাকুন। অন্যান্য পানীয়ের মধ্যে লেমোনেড, আদা চা, জিরের জল খেতে পারেন।
৩) দিনের যে সময়ে সাধারণত মদ্যপান করেন, সে সময়ে অন্য কোনও কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। ওই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটান। যে সব জায়গায় বা পার্টিতে মদ্যপানের ব্যবস্থা রয়েছে, প্রথম দিকে সেইগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
৪) শরীরচর্চাও করেও মদ্যপানের অভ্যাসে কিছুটা রাশ টানা যায়। শরীরচর্চা করলে মনমেজাজ ভাল থাকে, মানসিক চাপ কমে, এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। সব মিলিয়ে মদ্যপানে আসক্তি কমে।
৫) উপরের উপায়গুলিতে একেবারেই কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত থেরাপি এবং ওষুধ অনেকটাই সাহায্য করতে পারে মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ করতে।