সুস্থ থাকতে নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
গোটা সপ্তাহ কাজের পর একটা দিন ছুটি। কোথায় সারা দিন বিছানায় গড়িয়ে কাটাবেন, তা নয়। ছুটির দিনেও সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করতে যেতে হবে। এক টানা শুয়ে থাকলে কোমর, পিঠে ব্যথাও হতে পারে। সেই ব্যথা সামাল দেওয়া মুখের কথা নয়। কিন্তু সাতসকালে বিছানা ছাড়া সহজ নয়। ঘুমজড়ানো চোখে স্কোয়াট্স কিংবা হাই নিজ় করতে কারই বা ভাল লাগে! তখন মনে হয়, বিছানায় আরও একটু গ়ড়িয়ে নেওয়া যাক। তবে আলসেমির কারণে শরীরচর্চা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না। সুস্থ থাকতে নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে। সকালের আলস্য যদি একান্তই কাটিয়ে উঠতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে বিছানায় বসেই কিন্তু কার্যসিদ্ধি হতে পারে। কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যেগুলি করতে আলাদা করে ‘ম্যাট’ পাতার দরকার নেই। বিছানায় বসেই করতে পারেন।
১) স্ট্রেচিং এর মধ্যে অন্যতম। সারা রাত ঘুমিয়ে থাকার ফলে পেশি স্বাভাবিক ভাবেই নমনীয়তা হারায়। পেশি সচল রাখতে হাত, পা মাঝেমাঝেই প্রসারিত করা জরুরি। ঘুম থেকে উঠে নিজেকে চাঙ্গা রাখতে বিছানায় বসেই সেটি করতে পারেন। দেখবেন, ঝরঝরে লাগবে। আলসেমিও কেটে যাবে।
২) বিছানায় বসে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে উঠে বসে দু’হাত সামনের দিকে প্রসারিত করে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার ভঙ্গিতে বসতে পারেন। এই ধরনের ভঙ্গিকে ‘রোল আপস’ বলা হয়। কোমরের মেদ ঝরাতে বেশ কার্যকর এই ব্যায়াম। চাইলে ‘ক্রাঞ্চেস’ও কিন্তু বিছানায় বসেই করতে পারেন।
৩) পেটের বাড়তি মেদ ঝরাতে এবং শারীরিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। বিছানায় শুয়ে হাঁটুকে ৯০ ডিগ্রি কোণে বাঁকিয়ে হাত দু’টি মাথার নীচে রাখুন। মাথা ও ঘাড় সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকুন। উপকার পাবেন।বিছ
বিছানায় বসেও অভ্যাস করা যায় এই ধরনের ব্যায়াম। ছবি: সংগৃহীত।
৪) বিছানায় শুয়ে পায়ের সাহায্যে কোমর থেকে নিতম্ব পর্যন্ত তুলুন। হাত দু’টি শরীর স্পর্শ করে পাশে রাখুন। কোমরের মেদ কমাতে সাহায্যে করে ‘হিপ ব্রিজ’।
৫) হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান, যাতে বুক উরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা গদির উপরে রেখে হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করুন। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এই আসনের জুড়ি মেলা ভার।