দেবী কোন বাহনে আসছেন আর কোন বাহনে ফিরছেন তা নিয়েও হিন্দুশাস্ত্রে অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে।
মহালয়া মানেই অপেক্ষার শেষ। দোরগোড়ায় দেবীপক্ষ। তার আগেই অনেক জায়গায় উমা মণ্ডপে এসে গেলেও শাস্ত্রমতে দেবী মর্ত্যে আসেন অনেকটা পরে। বোধন হয় ষষ্ঠী তিথিতে।
দেবী কোন বাহনে আসছেন আর কোন বাহনে ফিরছেন তা নিয়েও হিন্দুশাস্ত্রে অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। পঞ্জিকা মতে এই বছর দেবী দুর্গার আগামন গজে। তার ফলে শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা। আর দেবীর গমন নৌকায়। যার অর্থ শস্যবৃদ্ধি এবং জলবৃদ্ধি। এই নিদানে যাঁরা বিশ্বাস রাখেন তাঁদের কাছে এই বছরটা সত্যিই ভাল। কারণ, গমন এবং আগমন দুইয়েই দেবী শস্যপূর্ণ বসুন্ধরার আশীর্বাদ দিয়ে যাবেন।
কিন্তু কী ভাবে পঞ্জীকাকাররা ঠিক করেন কোন বছরে দেবীর আগমন ও গমন কোন বাহনে হবে? এর পিছনেও রয়েছে এক রীতি। কোন বারে সপ্তমী তিথি পড়েছে তার উপরে নির্ভর করে দেবী কোন বাহনে আসবেন। আবার কোন বাহনে ফিরবেন তা নির্ভর করছে সপ্তাহের কোন বারে দশমী তিথি। এই বছর সপ্তমী ২ অক্টোবর রবিবার সপ্তমী। তাই দেবী আসবেন গজে। আবার এই বছরের দশমী বৃহস্পতিবার। তাই দেবীর গমন নৌকায়।
এ বার নিয়মটা জেনে নেওয়া যাক। শাস্ত্রকারদের মতে, সপ্তমী বা দশমী তিথি রবিবার বা সোমবার হলে দেবীর আগমন বা গমন হবে গজে। সপ্তমী বা দশমী তিথি মঙ্গল বা শনিবার হলে ঘোটকে (ঘোড়া) আগমন বা গমন হয়। আবার সপ্তমী তিথি বা দশমী তিথি বুধবার হলে নৌকায় আগমন বা গমন। সপ্তমী তিথি বা দশমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দোলায় আগমন বা গমন নির্দেশ করে। এমনটাও মনে করা হয় যে, একই বাহনে আগমন এবং গমন হলে তা অশুভ ইঙ্গিত।