‘ডায়মন্ড লিগ’ চ্যাম্পিয়ান ট্রফি হাতে নীরজ। ছবি- ইন্সটাগ্রাম।
কথায় বলে সাফল্য পাওয়ার চেয়ে নাকি ধরে রাখা কঠিন। সাফল্যের পর থেকেই শুরু হয় আসল অধ্যবসায়। টোকিয়ো অলিম্পিকে সোনার পদকজয়ী জ্যাভলিন খেলোয়াড় নীরজ চোপড়ার জীবনযাত্রায় কি আদৌ কোনও পরিবর্তন এল?
এ কথা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই যে, ভারতে জ্যাভলিনকে জনপ্রিয় করার পিছনে যাঁর অবদান রয়েছে, তিনি হলেন ২৪ বছর বয়সি নীরজ। নীরজের মতো হওয়ার স্বপ্ন দেখেন যাঁরা, বা ক্রীড়া জগতে মানুষরা, অনেকেই নীরজের খাবারের তালিকা, শরীরচর্চার ধরন নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন করেন।
অলিম্পিকে সোনার পদকজয়ী নীরজ। ছবি- ইন্সটাগ্রাম।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নীরজ বলেন, “অস্বাস্থ্যকর কিছু খেলেই আমি আমার প্রশিক্ষকের কাছে ধরা পড়ে যাই। আমাকে তার জন্য যথেষ্ট খেসারতও দিতে হয়।” কী এমন খান? তাতে কি সমস্যা হয় বেশি? উত্তর দিয়েছেন নীরজ নিজেই। বলেছেন, “অলিম্পিকের পর আমার ওজন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। অবশ্য খাওয়াদাওয়া এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আসলে এক বার শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অস্বাস্থ্যকর কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটাই থাকে না।’’
তা হলে আবার শাস্তি কেন পান? কী শাস্তি দেওয়া হয় তাঁকে? নীরজ বলেন, ‘‘আমি যদি আগের দিন পরোটা বা তেমন অস্বাস্থ্যকর কিছু খাই, তা হলে পরদিন আমার প্রশিক্ষক ১০ গুণ বেশি খাটাবেন।”
ডায়মন্ড লিগ জেতার পর ছোট্ট একটি বিরতি নিয়ে নীরজ এবং তাঁর পরিবার ইউরোপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানেই রকমারি বিভিন্ন পদ চেখে দেখতে গিয়ে ডায়েট ভুলেছিলেন তিনি।
নীরজের ডায়েটে ‘চা’ একেবারেই বাদ। কিন্তু কোনও রাখঢাক না করে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এই দীপাবলিতে তিনি পরিবারের সঙ্গে চুটিয়ে আনন্দ করেছেন। পাল্লা দিয়ে চা-ও খেয়েছেন। নীরজ বলেছেন, “ট্রেনিং-এর জন্য দেশের বাইরে থাকলে, তখন এই পরিমাণ চা খাওয়া হয় না। কিন্তু বাড়িতে থাকলে চা খাওয়ার পরিমাণ যেন বেড়েই চলে।”
তবে এ বার আর কোনও ফাঁকি নয়। আবার পুরনো ছন্দে ফিরতে, যা যা করণীয়, সবটাই শুরু করেছেন নীরজ।