গোয়ায় জারি নয়া বিধি, সৈকতে মদ্যপান নিষিদ্ধ। ছবি: পিক্সাবে
সমুদ্র সৈকতে বসে রান্না করা কিংবা মদ খাওয়া যাবে না, জানিয়ে দিল গোয়া পর্যটন দফতর। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোয়া পর্যটন দফতর জানিয়েছে, শুধু মদ্যপানই নয়, সমুদ্র সৈকতে ভিক্ষা কিংবা দালালি করাও আইনত নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ গাড়ি চালানোও। এই ধরনের কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে বলেও দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি।
গোয়ার পর্যটন দফতরের ডিরেক্টর নিখিল দেশাইয়ের স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে খোলা জায়গায় রান্না করা, আগুন জ্বালানো, মদ্যপান, মদের বোতল ভাঙার মতো কাজ নিষিদ্ধ হচ্ছে। অনেকেই অনুমোদন ছাড়া সৈকতে সমুদ্রক্রীড়ার টিকিট বিক্রি করেন। নিষিদ্ধ হচ্ছে তা-ও। পর্যটকদের হাঁটাচলায় ব্যাঘাত ঘটানো ও তাঁদের কোনও কিছু কিনতে জোর করার যে কোনও কাজকেই ‘গোয়া টুরিস্ট প্লেসেস প্রোটেকশন অ্যান্ড মেন্টেনেন্স অ্যাক্ট, ২০০১’-এর আওতায় ‘উপদ্রব’ বলেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। নির্দেশ অমান্য করলে ৫ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
শুধু মদ্যপানই নয়, সমুদ্র সৈকতে ভিক্ষা কিংবা দালালি করাও আইনত নিষিদ্ধ। —ফাইল চিত্র
পর্যটনমন্ত্রী রোহন খাউন্তে জানিয়েছেন, দেশের অন্যতম সেরা সৈকত হিসাবে পরিচিত গোয়ার সমুদ্রসৈকতগুলি। সেখানে যদি পর্যটকরা দালাদের হাতে হেনস্থার শিকার হন, তবে সেই তকমায় কালি লাগতে পারে। সে কারণেই এই ধরনের কড়াকড়ি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। ২০১৯ সালে গোয়ার ‘চরিত্রবদল’ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করে প্রশাসন। তখনও এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করে খোলা জায়গায় মদ্যপান করতে নিষেধ করা হয়েছিল। সৈকতের বাইরে ঘেরা জায়গার মদ্যপানে অবশ্য বাধা ছিল না।