প্রতীকী ছবি।
এক কালে একটি চওড়া পাড়ের সাদা শাড়ি কিনে শ্বশুরবাড়ি চলে গেলেই হত। ষষ্ঠীর পাখার বাতাস, আম-লিচু, তার পর ভরপুর আহার। ব্যস জামাইষষ্ঠী জমজমাট।
কিন্তু এখন শাশুড়িরাও যে আর সে রকম নেই। জিন্স কিংবা ড্রেস পরেন। ষষ্ঠীতে জামাইকে নতুন কায়দার রেস্তরাঁয় নিমন্ত্রণ করেন। কখনও চাইনিজ, কখনও বা মোঘলাই খাওয়ান। জামাইরাও কি পিছিয়ে পড়বেন নাকি? মানানসই উপহারও তো দেবেন আধুনিকা শাশুড়িমাকে।
প্রতীকী ছবি।
তবে এই ষষ্ঠীতে কী উপহার দেবেন শাশুড়িকে?
১) স্নিকার্স: কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর হয়তো কম বেরোতে হয়। কিন্তু বান্ধবীদের সঙ্গে হাঁটতে কিংবা শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে সিনেমায় যাওয়ার চল তো রয়েছে। বয়স বাড়ছে। এ সময়ে পোশাকের থেকেও জুতোর দিকে নজর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে মহিলাদের। কারণ, ভারতে অধিকাংশ মহিলার একটি বয়সের পর হাড়ের ক্ষয় হতে দেখা যায়। ফলে শাশুড়ির পছন্দসই রঙের একটি স্নিকার্স কিনে ফেলুন। তাঁর জন্য যে ছেলের মতোই চিন্তা করেন, বুঝবেন শাশুড়ি।
২) হেডফোন: ওটিটি-তে মন শাশুড়িমায়ের? মাঝেমধ্যেই তা নিয়ে গোলমাল বাধে শ্বশুর-শাশুড়ির? একটি ভাল ব্লু টুথ হেডফোন উপহার দিন শাশুড়িমাকে। সব ঝঞ্ঝাট দূরে থাকবে। তবে খাওয়াদাওয়া শেষে স্মার্ট টিভি বা ফোনের সঙ্গে সেই ব্লু টুথ হেডফোন কী ভাবে লিঙ্ক করতে হয়, শিখিয়ে দিতে ভুলবেন না যেন!
৩) ইয়োগা ম্যাট: রোজ আসনের ক্লাসে যাচ্ছেন কি শাশুড়ি? না গেলে তাঁকে উৎসাহ দিন। একটি উজ্জ্বল রঙের ইয়োগা ম্যাট কিনে ফেলুন তাঁর জন্য। বাবাজীবনের মান রাখতে অন্তত মাঝেমধ্যে আসন করতে বসবেন তিনি। সচল থাকবেন বেশি বয়স পর্যন্ত।