গরমজলে মধু মেশাতে কোনও ভুল হচ্ছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে পাতিলেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খান অনেকেই। ওজন এবং পেটের মেদ কমানোর জন্য এটি অন্যতম সহজ এবং দ্রুততম পদ্ধতি বলে অনেকেই মনে করেন। তাই অনেকেই বারোমাস ভরসা রাখেন এই টোটকায়। পুষ্টিবিদেরাও রোগা হওয়ার জন্য এই পানীয় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই গরম জলে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেয়েও মনের মতো ফল পাননি। এর একটি কারণ হতে পারে যে, গরম জলের সঙ্গে মধু মেশানোর নিয়মে কিছু গলদ থেকে যাচ্ছে। গরম জলে মধু মেশানোর ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
১) ফুটন্ত গরম জলে মধু মেশানো একেবারেই ঠিক নয়। তাতে মধুর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। মধু সব সময় ঈষদুষ্ণ জলে মেশাতে হয়। তা হলেই সুফল পাওয়া যাবে। জল অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে খানিকটা ঠান্ডা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। তার পর মধু মেশান।
২) বাজারচলতি মধু মানেই তা প্রক্রিয়াজাত। কৃত্রিম উপায়ে সংরক্ষণ করা হয়। খাঁটি মধু খেতে পারলে ভাল। মধু খাঁটি হলে সমস্ত রকম পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তাতে। ওজন কমানোর কাজটিও মসৃণ করে তোলে ভাল মানের মধু।
৩) গরমজলে ঠিক কী পরিমাণ মধু মেশাচ্ছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। মধু প্রকৃতিক কারণেই মিষ্টি। তাতে শর্করাও থাকে কিছুটা পরিমাণে। ফলে বেশি মধু না খাওয়াই ভাল। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪) গরমজলে মধু দিয়েই ঢক ঢক করে খেয়ে নিলে হবে না। জলের সঙ্গে মধু ভাল করে মিশছে কি না, সেটা দেখাও জরুরি। জলে মধু দেওয়ার পর চামচ দিয়ে ভাল করে গুলে নিন। তার পর খান। তাতে সুফল পাবেন।