— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জিমে যাওয়া মনস্থির করলেই সবচেয়ে আগে মাথায় আসে জিমের পোশাক এবং অ্যাকসেসরি কী হবে? এক্সারসাইজ়ের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নেওয়া অবশ্যই জরুরি। কিন্তু অন্যের কথা শুনে জুতো, গ্লাভস, নি-গার্ড ইত্যাদি কেনার আগে একটু চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। কোন ধরনের ব্যায়ামের জন্য আপনি জিমে ভর্তি হচ্ছেন, সেটা আগে বুঝে নিতে হবে। সেই বুঝে জুতো এবং অ্যাকসেসরিজ় বাছাই করতে হবে। জরুরি হল ব্যায়াম করার সময়ে জয়েন্টের সুরক্ষার দিকে নজর দেওয়া।
পায়ের কথা
ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি জুতো বাছাই। অ্যারোবিক্স, জ়ুম্বা, হাঁটা বা দৌড়ানোর ক্ষেত্রে আপনার জুতো এক রকম হবে। আবার ওয়েট লিফটিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের জুতো আলাদা। আধুনিক নিয়ম অনুযায়ী, খালি পায়ে ব্যায়াম করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ন্যাচারাল গ্রিপ তৈরি হবে। চাইলে বেয়ারফুট শু পরে ব্যায়াম করা যেতে পারে। এই ধরনের জুতোর নীচটা একদম ফ্ল্যাট হয়। কিছু বেয়ারফুট জুতোয় আঙুলগুলোও আলাদা থাকে। অনেক সময়েই ভাল জুতো পরলেও আঙুল জড়সড় হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তা হবে না। স্কোয়াট, ওজন নিয়ে স্কোয়াট, ডেডলিফটের ক্ষেত্রে এই ধরনের জুতো পরলে ভাল। দৌড়নো বা জগিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাল হিল সাপোর্ট দেওয়া জুতো পরতে হবে। তবে ফ্ল্যাটফুটের সমস্যা থাকলে বেয়ারফুট শু বেশিক্ষণ না পরাই ভাল। দু’ধরনের জুতো কিনতে না চাইলে কার্ডিয়ো ছাড়া বাকি সব কিছু খালি পায়েই করা যায়।
গ্লাভস না রিস্টব্যান্ড?
গ্লাভস ছাড়া ওয়েট ট্রেনিং করার কথা ভাবতে পারেন না অনেকে। আধুনিক পদ্ধতি বলছে, গ্লাভসের প্রয়োজন নেই। হাতের স্বাভাবিক গ্রিপ নষ্ট হয় তাতে। প্রয়োজনে রিস্টব্যান্ড ব্যবহার করুন। এলবো গার্ডও পরেন অনেকে। খুব ভারী ওজন তোলার সময়েই এটির প্রয়োজন পড়ে।
হাঁটু বাঁচিয়ে
ব্যায়ামের সময়ে হাঁটুতে চোট পাওয়ার ঘটনা খুব স্বাভাবিক। হাঁটুতে সমস্যা থাকলে নি-গার্ড ব্যবহার করুন। কার্ডিয়ো বা ওয়েট ট্রেনিংয়ের সময়ে এটি হাঁটুকে বাঁচিয়ে রাখবে। তবে নি-গার্ড চিরস্থায়ী সমাধান নয়। তাই হাঁটুর মবিলিটি ট্রেনিং করাও জরুরি।
অ্যাকসেসরিজ় কেনার সময়ে ভাল প্রডাক্ট কেনা উচিত। সাইজ় বুঝে জিনিস কিনতে হবে।