এক সেকেন্ডেই ৫০ হাজারের বেশি সিনেমা ডাউনলোড সম্ভব! ছবি: সংগৃহীত
একটা গোটা সিনেমা আপনার মোবাইলে ডাউনলোড হতে কত ক্ষণ সময় নেয়? ১০ মিনিট? ৫ মিনিট? ১ মিনিট? ফোনের নেটওয়ার্কের গতি, কিংবা ওয়াইফাইয়ের গতির উপর নির্ভর করে কেমন গতিতে সিনেমা ডাউনলোড হচ্ছে মোবাইলে। কিন্তু তা বলে এক নয়, দুই নয়, একেবারে ৫৭ হাজার সিনেমা এক সেকেন্ডে!
এমনই হয়েছে জাপানের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি’-তে। ইন্টারনেটের গতিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েছে এই প্রতিষ্ঠান। তার পরিমাপ ৩১৯ টিবিপিএস। মানে, প্রতি সেকেন্ডে ৩১৯ টেরাবাইট। এর আগে লন্ডনের ইউভার্সিটি কলেজের রেকর্ড ছিল এই বিষয়ে। ১৭৮ টিবিপিএস। দ্বিগুণ গতি তুলে সেই রেকর্ড ভেঙে দিল জাপানের প্রতিষ্ঠানটি।
গড় হিসেবে করলে দেখা গিয়েছে, নেটফ্লিক্সের ঘরে যত সিনেমা রয়েছে, তার পুরোটাই ডাউনলোড করে ফেলতে সময় লাগবে এক সেকেন্ডেরও কম সময়।
৩১৯ টেরাবাইট মানে ঠিক কতটা? ১০২৪ মেগাবাইটে হয় ১ গিগাবাইট। ওটিটি মাধ্যমে থাকা যে কোনও সিনেমার আয়তন সাধারণত ১ গিগাবাইটের কিছুটা বেশি হয়। সেখানে ১০০০ গিগাবাইটে হয় ১ টেরাবাইট। জাপানের এই প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে পৌঁছে গিয়েছিল ৩১৯ টেরাবাইটে। সেই হিসেবে ওটিটি মাধ্যম থেকে লক্ষ তিনেক ছবি ১ সেকেন্ডে ডাউনলোড করা যেতে পারে। আর পুরোদস্তুর হাই রেজোলিউশন সংস্করণ হলে সেই সংখ্যাটা কমে হবে সেকেন্ডে ৫৭ হাজার।
বিস্ময়কর গতি ইন্টারনেটের।
তবে তারের মাধ্যমে আসা ইন্টারনেটের গতি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আসা গতির তুলনায় অনেক বেশি। মোবাইলে সর্বাধিক ইন্টারনেটের গতি এখনও পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট। দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০২০ সালে এই রেকর্ড তৈরি হয়।
এর পাশাপাশি ভারতের ইন্টারনেটের গতি অবশ্য মোটেই খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয়। তারের মাধ্যমে আসা পরিষেবায় ডাউনলোডের সর্বাধিক গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৮.১৯ মেগাবাইট। আর মোবাইল পরিষেবায় তা প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ১২.১৬ মেগাবাইট।