বেশ কিছু দিন ধরেই কোনও কাজেই মন বসছে না। কিছুই করতে ভাল লাগছে না। আপনি ভাবছেন নিত্যদিনের স্ট্রেসের কারণেই অবসাদ বাড়ছে মনে। এক বার মনোবিদের কাছে যাবেন কি না তাও ভাবছেন। সে আপনি মনোবিদের কাছে যেতেই পারেন তবে তার আগে এক বার নিজের খাওয়া দাওয়ার উপর নজর দিন তো। মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর—যা খাবার বিনা আপনি নিজেকে অসম্পূর্ণ ভাবেন সেই খাবার কমিয়ে বেশি করে খান ফল-শাকসব্জি। কারণ তাতেই কমবে মনের অবসাদ। এক সমীক্ষায় প্রকাশ খাদ্যে পুষ্টি কম হলেই বাড়ে মনের অবসাদ। গবেষকদের দাবি,বেশি করে শস্যদানা, ফল, শাক-সব্জি, বাদাম খেলে কমবে অবসাদ।
স্পেনের লা পালমা দ্য গ্রাঁ কানারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এই সমীক্ষাটি করেন। আলমুদেনা সাঞ্চেজ ভিলেগাসের নেতৃত্বে এই গবেষণা চালানো হয়।
সাঞ্চেজ জানিয়েছেন, খাদ্যের সঙ্গে কী ভাবে মনের যোগ, তা জানতেই চালানো হয় গবেষণা।
বছর দশেক ধরে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের খাবার, নিরামিষ-দুগ্ধজাতীয় খাবার এবং বিকল্প হেলদি ইটিং ইন্ডেক্স—তিন ধরনের খাবার বেছে নেন তাঁরা। প্রায় ১৬ হাজার মানুষের উপর চালানো হয় গবেষণা। এঁদের মধ্যে কয়েক জন স্পেনের নাভারা-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া কেউ বা আবার চাকুরিজীবী। অবসাদমুক্ত দেখেই তাঁদের এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়।
প্রত্যেকেই দেওয়া হয় একটি স্কোরিং সিস্টেম। যে যত বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার খান তত বেশি সে হাই স্কোর করেন। মাংস বা মিষ্টির মতো প্রাণীজ ফ্যাট যুক্ত খাবার নেগেটিভ স্কোর করে। পজিটিভ স্কোর করে মিনারেল, ভিটামিন এবং উপকারী ওমেগা ৩-ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত শস্যদানা, ফল, শাক-সব্জি, বাদামের মতো খাবার।
সাঞ্চেজের দাবি, বেছে নেওয়া প্রতিটি খাবারই স্বাস্থ্যকর, কিন্তু দেহের পুষ্টির পাশাপাশি মনের খোরাকও সেই সব খাবারে কতটা মেটে তা জানতেই করা হয়েছে গবেষণাটি। যে সব খাবার হাই স্কোর করেছে বুঝতে হবে সেই সব খাবার নিয়মিত খেলে কমবে অবসাদ। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে বিএমসি মেডিক্যাল জার্নালে।