মেটার কড়াকড়ি! ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ১৮ না পেরোলে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সব ছবি দেখা যায় না। কিন্তু সমাজমাধ্যমের ক্ষেত্রে তেমন কড়াকড়ি নেই। সেখানে আসল বয়স গোপন রেখেও অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তরুণ প্রজন্মের কাছে সমাজমাধ্যম এখন যেন ‘সব পেয়েছির মাঠ’। দিনরাত জুড়ে সেই নেশায় মত্ত কৈশোর, যৌবন। মদ, গাঁজা, সিগারেটের চেয়েও সর্বনাশা হয়ে উঠছে সমাজমাধ্যম। তাই ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে ‘মেটা’ সংস্থা ‘পেরেন্টাল কন্ট্রোল’, ‘নাইটটাইম নাজ’-এর মতো গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত একগুচ্ছ পরিবর্তন আনতে চলেছে।
সমাজমাধ্যমে ‘স্ক্রল’ করেই সময় চলে যায় সিংহভাগে তরুণের। এক বার ইনস্টাগ্রামে ‘রিল’ দেখতে শুরু করলে কী ভাবে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়, তা বুঝতেও পারেন না অনেকে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবার রাত জেগে সমাজমাধ্যমে ঘোরাঘুরি করার অভ্যাস। অভিভাবকদের চোখের আড়ালে, কম্বলের তলায়, রাতের পর রাত অন্যের প্রোফাইল হাতড়ে আর রিল দেখেই কাটিয়ে দেন অনেকে। যার ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। যার কারণে শারীরিক তো বটেই, মানসিক নানা সমস্যার শিকার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। এই অভ্যাসে ছেদ আনতেই মেটা ‘নাইটটাইম নাজ’-এর ব্যবস্থা করছে। রাতে একটানা ১০ মিনিট রিল দেখলেই ইনস্টাগ্রাম থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হবে অ্যাপ বন্ধ করার কথা। যত ক্ষণ না অ্যাপ বন্ধ হবে, তত ক্ষণ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। ‘পেরেন্টাল কন্ট্রোল’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরীক্ষণ ফিচারের কথা মেটা আগেই ঘোষণা করেছিল।
‘পেরেন্টাল কন্ট্রোল’ এর ফলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে?
বাবা-মায়েরা আন্দাজ করতে পারবেন, সন্তান কত ক্ষণ ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকের মতো অ্যাপে সময় কাটাচ্ছে। সন্তান অনলাইন থাকলে অভিভাবকের কাছে আলাদা করে ‘নোটিফিকেশন’ও পাঠানো হবে। সন্তানের সঙ্গে কারা যোগাযোগ করবে এবং সমাজমাধ্যমে কোন কোন বিষয় তারা দেখতে পাবে, সেই ব্যাপারেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন অভিভাবকেরা।