অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভেপিং নিরাপদ? ছবি: সংগৃহীত।
কিছু দিন আগে পর্যন্ত হবু মায়েদের ভেপিং বা ই-সিগারেট ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন চিকিৎসকেরা। এই অভ্যাস গর্ভস্থ ভ্রূণ এবং হবু মায়ের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে বলেই এত দিন জানতেন সকলে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সিগারেট খেলে যে পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে, তার তুলনায় ভেপিং নিরাপদ। লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। অ্যাডিকশন জার্নাল-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা নিবন্ধ।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভ্রূণের ক্ষতি না করেই ধূমপানে আসক্ত হবু মায়েদের নেশা ছাড়াতে সাহায্য করে ভেপিং। গবেষণার সমীক্ষার সময় গর্ভাবস্থার প্রথম পাঁচ সপ্তাহ পেরোনোর পর, হবু মায়েদের কারও শরীরে নিকোটিনের বিকল্প হিসেবে বিশেষ একটি ‘প্যাচ’ লাগিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদের বলা হয় ই-সিগারেট ব্যবহার করতে। তাঁদের অবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করে রাখেন বিজ্ঞানীরা। প্রসবকালীন কোনও জটিলতা ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে ওই অন্তঃসত্ত্বারা প্রসবও করেন। সদ্যোজাতদের হাবভাবেও কোনও পরিবর্তন তাঁদের নজরে পড়েনি। ওই সদ্যোজাতদের ওজন আর পাঁচটি সাধারণ বাচ্চার মতোই হয়েছে বলে জনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণার প্রধান এবং চিকিৎসক পিটার হ্যাজেকের দেওয়া একটি বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম ট্রাইমস্টার অর্থাৎ চতুর্থ সপ্তাহ থেকে নিয়মিত ‘নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি’ ব্যবহার করলেও হবু মা এবং ভ্রূণের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর তেমন কোনও প্রভাব ফেলে না। উল্টে নিকোটিনের আসক্তি কমিয়ে দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, নিকোটিন শ্বাসযন্ত্রের যা ক্ষতি করে, তার চেয়ে ই-সিগারেট সেবনে ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবে চিকিৎসক মহল এই ফলাফলের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছে না। সিগারেটের মতো ক্ষতি না হলেও ভেপিং যে সম্পূর্ণ নিরাপদ, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
(আনন্দবাজার অনলাইন এই গবেষণার সত্যতা যাচাই করেনি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা উচিত নয়। )