Viral Incident

অনুরাগীর সংখ্যা দেড় লক্ষেরও বেশি! বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিলাসবহুল যাপনে সাবলীল সারমেয় ‘বাও’

২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময়ে বাওকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শা। কিন্তু সেই সময়ে অন্য দেশে ভ্রমণ করার ব্যাপারে নানা রকম বিধিনিষেধ ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪৭
Share:

ফ্যাশনিস্তা বাও! ছবি: সংগৃহীত।

বয়স ৩ বছর। ওজন ৩ কেজির থেকেও কম। অভিভাবক শা থি গক্‌ ট্রানের হাত ধরে ইতিমধ্যেই সে ঘুরে ফেলেছে পৃথিবীর অনেক দেশ। কথা হচ্ছে চিহুয়াহুয়া প্রজাতির সারমেয় ‘বাও’কে নিয়ে। অন্যতম ধনী এই ‘চারপেয়ে’ নেটপ্রভাবীর ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীর সংখ্যা দেড় লক্ষেরও বেশি।

Advertisement

৩৭ বছর বয়সি শা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময়ে তিনি বাওকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেই সময়ে অন্য দেশে ভ্রমণ করার ব্যাপারে নানা রকম বিধিনিষেধ ছিল। তাই তিনি তাঁর ‘পুত্রসন্তান’টিকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেননি। তবে, নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁদের ভ্রমণ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য প্রভুর সঙ্গে অনেক পোষ্যই দেশ-বিদেশে ঘুরতে যায়। কিন্তু, তাদের থেকে বাও একটু আলাদা। কেন?

পৃথিবীর বিখ্যাত সমস্ত ব্র্যান্ডের প্রসাধনী, পোশাক থেকে রোদচশমা— কী নেই এই শৌখিনি চারপেয়ের! শা জানিয়েছেন, বাওয়ের সংগ্রহে যা রয়েছে, তার বাজারমূল্য ২ লক্ষ টাকারও বেশি। তার এই যাপন সম্পর্কে সকলকে অবহিত করতেই সমাজমাধ্যমে বাওয়ের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন শা। তবে বাও যে সকলের এত প্রিয় হয়ে উঠবে, সে সম্পর্কে এতটুকু ধারণা তাঁর ছিল না। সারমেয়টির কর্মকাণ্ড দেখে সমাজমাধ্যমে অনুরাগীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই পোক্ত হয়েছে তার ‘ফ্যাশন সেন্স’। কোন দিন কোন পোশাক সে পরবে, জ্যাকেট পরবে কি না, সঙ্গে রোদচশমা গলায় ঝুলবে, না কি চোখে থাকবে— সে বিষয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় সে। বাওয়ের ভক্তকুলের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে তাকে বিজ্ঞাপনে কাজ করার প্রস্তাবও দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement